Posts

Showing posts from December, 2020

রোগ হরণী মা শীতলা

Image
মা শীতলা কে দেবী মহামায়ার একটি রূপ বলা হয়। তিনি এই রূপে পীড়ির হরণ করেন। জগতবাসীর পীড়া হরণ করবার জন্য আদিশক্তি ভগবতী শীতলা রূপ ধারন করেছেন।  মা শীতলা কে অনেকে বসন্ত রোগের বাহক মনে করেন ও মা শীতলার নাম শুনলে ভয় পান। সেই লোকেদের বিশ্বাস মা শীতলা পূজা পাবার জন্য রোগ দান করেন। বলতে বাধ্য হচ্ছি সেই সমস্ত লোক গুলো নিতান্তই মূর্খ। কেন না মা কোনদিন সন্তান কে রোগ দেন না, আর মা পূজার ভিখারীও নন । মা হলেন স্বয়ং অন্নপূর্ণা। মা ধান দেন- আমরা খাই। সুতরাং মায়ের কোন কিছুর অভাব নেই। আমরা মায়ের জিনিষ মাকেই অর্পণ করি। মা রোগ দিতে নয়, রোগ হরণ করতে আসেন।  অস্ত্র হিসেবে মা শীতলা ঝাঁটা, শূর্প ধারন করেন। ঝাটা, শূর্প অর্থাৎ কূলো দ্বারা আমরা ময়লা ঝাড়ি। মা রোগ তাড়ান তাই তিনি প্রতীক রূপ ঝাঁটা শূর্প ধারন করেন। মায়ের হাতে অমৃতকুম্ভ থাকে, সেই শান্তিবারি দিয়ে সর্বত্র শান্ত করেন। মা শীতলার হাতে পাখা থাকে। পাখার দ্বারা তিনি শীতল করেন, তাই তিনি মা শীতলা । মা শীতলার বাহন গর্দভ বা গাধা।  গর্দভ কে আমরা বোকা বললেও আসলে সে চুপচাপ ভাবে কাজ করে মালিকের। গর্দভ আমাদের ...

পবিত্র শালগ্রাম শিলা নিয়ে কিছু কথা

Image
ওপরের ছবিটি পবিত্র শালগ্রাম শিলার। এই শিলা সৃষ্টির পিছনে পুরাণের একটি কিংবদন্তি আছে।  শিব পুরাণ' এবং 'দেবী ভাগবত পুরাণে' বর্ণিত কাহিনী অনুসারে একবার "দেবরাজ ইন্দ্র মহাদেবের সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে কৈলাস পর্বতে আসছিলেন"। এই সময় মহাদেব ইন্দ্রের ধৈর্য পরীক্ষা করার জন্য 'অঘোরি রূপে' কৈলাসের পথে শুয়ে পড়লেন। ইন্দ্র 'অঘোরি' রূপে শিব কে দেখে চিনতে না পেরে তাকে পথ থেকে সরে যেতে আদেশ দিলেন, কিন্তু অঘোরি একটুও নরলেন না। বারবার বলার পরেও তখন অঘোরি সরলেন না তখন ইন্দ্র তাকে বলপূর্বক সরাতে চাইলেন। কিন্তু ইন্দ্রের সকল প্রকার অস্ত্র-শস্ত্র তার সামনে ব্যার্থ হয়, যার ফলে ইন্দ্র ক্রোধিত হয়ে বজ্র দ্বারা শিবের মস্তকে আঘাত করলেন। এতে মহাদেব ক্ষুব্ধ হয়ে তৃতীয় নয়ন দ্বারা ভষ্ম করতে উদ্যত হলে ইন্দ্র তাকে চিনতে পেরে শিবের সরনাপন্ন হলেন। এতে মহাদেব ইন্দ্রকে ক্ষমা করলেন এবং তার ক্রোধাগ্নি 'সমুদ্রে' নিক্ষেপ করলেন। শিবের ক্রোধাগ্নি সমুদ্রে গিয়ে মিলিত হলে তার থেকে এক শিশুর জন্ম হয়। 'দৈত্যগুরু শুক্রাচার্য' এই শিশুর পালনের দায়িত্ব নিলেন। যেহেত...

রেলকর্মীদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধে নিয়ে কিছু কথা

Image
রেল কর্মীদের প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আজ বলার কথা ছিল। এক্ষেত্রে সবার প্রথমেই সেই সমস্ত স্টাফেদের কথা বলতে হবে যাদের কে Continuous ক্যাটেগরি তে রাখা হয়। যেমন, ক্লার্ক, স্টেশন মাস্টার, গুডস গার্ড, ড্রাইভার ,টিসি, টিটি ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সমস্ত পোস্ট এ কর্মরত স্টাফেদের ডিউটি প্রতিদিন আট ঘন্টা করে হয় এবং সপ্তম দিন ২৪ ঘন্টার রেস্ট দেওয়া হয়। এরপরেই আসে সেই সমস্ত স্টাফেরা যাদের ডিউটি ১২ ঘণ্টার। এবং তারপর তাদের সপ্তাহে দুদিন বিশ্রাম দেওয়া হয়। এই ধরনের স্টাফেদের Essential entermittant staff বলা হয়। যেমন, গেটকিপার, চৌকিদার, এবং এই রকম আরো অনেক কিছু। এরপর আছে এমন কিছু স্টাফ যাদের কে Intensive গ্রুপে রাখা হয়। এদের ডিউটি ৬ ঘন্টার। এই ছয় ঘন্টা তাদের কে ভীষণ সতর্কভাবে নিজের ডিউটি পালন করতে হয়। কেননা এরা ট্রেন পরিচালন এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করেন। এদের ক্ষেত্রে ও সাপ্তাহিক বিশ্রাম প্রযোজ্য। যেমন, ট্রাফিক কন্ট্রোলার, কোচিং কন্ট্রোলার ইত্যাদি ইত্যাদি। এর পরে আসে Excluded ক্যাটেগরি ভুক্ত স্টাফ। এদের Rest schedule নির্দিষ্ট নয়। আর না তো ঘন্টার হিসেবে এদের ডিউটি দেওয়া হয়। এ...

গ্যাংস্টার সম্রাট দাউদ ইব্রাহিম

Image
১৯৯৩ এর সিরিয়াল মুম্বাই বোমা বিস্ফোরণ... যে বিস্ফোরণে ১৪০০ জন মানুষ আহত হন এবং ২৫৭ জন মারা যায়। সেই সময় এই বিস্ফোরণ সমগ্র ভারতবর্ষ কে স্তম্ভিত করে দেয়। এই বিস্ফোরণের সাথে-সাথে আরো একটি নাম প্রকাশ পেতে শুরু করে যে নাম ছিল "দাউদ ইব্রাহিম" এই বিস্ফোরণের ২৭ বছর পরে আজও এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন কে ধরা সম্ভব হয়নি। ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানের করাচি শহরে লুকিয়ে রয়েছে। এই ২৭ বছরে ভারত সরকার অনেকবার মানুষ কে এই বলে আশ্বস্ত করেছে যে দাউদ ইব্রাহিম কে জীবিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে ভারতে নিয়ে আসা হবে। কিন্তু আজ অব্দি কোন সরকার ই এই কাজে সফল হয়নি। ১৯৯০ এর দশকে দাউদ ইব্রাহিম প্রথমে পাঠান গ্যাং কে শেষ করে। যার পর দাউদ ইব্রাহিমের আধিপত্য সমগ্র মুম্বাই তে বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে দাউদ ইব্রাহিম ক্রাইম এর সিঁড়ি চড়তে থাকে একটা সময় পরে মুম্বাইয়ের ডন হয়ে যায়। যদিও সেই সময় দাউদ ইব্রাহিম কে বহুবার গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সেই সময় মুম্বাইয়ের মানুষ তার ত্রাস বা ভয়ের কারণে তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে চাইতো ন...

দুবাই টাওয়ার বুর্জ খলিফা

Image
বুর্জ আল আরব সম্পর্কে অনেক কিছু আগেই বলেছি এবার পৃথিবীর সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফা সম্পর্কে মজার একটা তথ্য দিই.... ১৬৮ তলার বুর্জ খলিফা সম্পর্কে একটি মজাদার তথ্য হচ্ছে রোজা চলাকালীন ইফতার করার সময় নিয়ে। রমজানের রোজা ভেঙ্গে ইফতার করার সাধারণ নিয়ম হচ্ছে সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার করা যায় বা করতে হয়। কিন্তু বুর্জ খলিফায় থাকা পর্যটক কিংবা অতিথিদের জন্য ব্যাপারটা অতটা সিম্পল নয়। কারণ সাধারণভাবে যখন সূর্য ডোবার সাথে সাথে দুবাই এর সবাই ইফতার করে তখন বুর্জ খলিফায় থাকা একতলা থেকে আশিতলা পর্যন্ত তলায় থাকা লোকেরা ইফতার করে। কিন্তু এর উপরের তলার লোকেরা ইফতার করে না। কারন ওপরের তলা থেকে সূর্য তখনো দেখা যায়। তাই কি আর করা যায় !  আরো দুই মিনিট অপেক্ষা করো ৮০ তলা থেকে ১৫০ তলার বাসিন্দারা। দুই মিনিট পর যখন ৮০ তলা থেকে ১৫০ তারা ইফতার করছে তখন আবার ১৫০ তলার ওপরে থাকা লোকেরা ইফতার করছেনা, কারণ তারা এখনো সূর্য দেখতে পাচ্ছে! তাই অগত্যা কি আর করা যায়...!!! তাদেরকেও এক বা দু মিনিট অপেক্ষা করতে হয় । তারপর সূর্য ডোবার সাথে সাথে তারাও ইফতার করা শুরু করে। এসব দেখে সত্যিই বলতে ইচ্ছে হয় "কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায় ও...

বিশ্বের বিস্ময় "বুর্জ আল আরব"

Image
অনেকেই অনেক ফাইভ স্টার হোটেল দেখে থাকবেন অথবা সেই সমস্ত হোটেলের ব্যাপারে শুনে থাকবেন। কিন্তু এমন কোন হোটেলের নাম কি জানা আছে যা সেভেন স্টার?? বলে রাখি সারা পৃথিবীতে এরকম একটা মাত্রই হোটেল আছে যা আদতে সার্টিফাইড সেভেন স্টার হোটেল। অনেকেই অনেক সেভেন স্টার হোটেল এর ব্যাপারে শুনে থাকবেন কিন্তু এই হোটেলে একমাত্র হোটেল যা একটি সেভেন স্টার হোটেল  হওয়ার জন্য সার্টিফাইড। আর এই হোটেলের নাম " বুর্জ –আল–আরব" চিত্র:- বুর্জ আল আরব এই লেখায় তুলে ধরব এই হোটেলের কিছু রোমাঞ্চকর বিশেষত্ব।  বুর্জ আল আরব দুবাই তে তৈরি একটি সেভেন স্টার হোটেল যা সারা পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে সেরা হোটেল। কেননা হাজার খুঁজলেও কারো পক্ষেই এই হোটেলের কোথাও কোনো খুঁত খুঁজে বের করা অসম্ভব। এই হোটেলের প্রতিটি কোনা কে অত্যন্ত যত্নের সাথে নিপুন  হাতে সুন্দর এবং সৌখিন ভাবে সাজানো হয়েছে। আর তাই প্রথমবার যে এই হোটেলে আসবে খুশিতে একপ্রকার পাগল হয়ে যেতে বাধ্য। এই হোটেল তৈরি হয়  ১৯৯৯ সালে। আর এই হোটেলের নির্মাতা  দুবাইয়ের প্রিন্স শেখ মহম্মদ বিন রাশিদ আল মাখতুম যিনি এক বিলিয়ন ডলার খরচ করে এই ...

আইফোন ও ডুয়েল সিমের সমস্যা

Image
আমি অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল দুধরেন ফোন ই ব্যাবহার করি। তবে আমার কাছে অ্যান্ড্রয়েড বরাবর ই অ্যাপেলের তুলনায় বেটার মনে হয় তার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে । সেগুলো অন্য এক সময় বলবো। আজ যে মূল বিষয়টার উপর আলোকপাত করব তা হল অ্যাপেলে ডুয়েল সিম ব্যবহার করার অসুবিধে। যারা যারা অ্যাপেল ইউজার রয়েছেন তারা এই বিষয় বা সমস্যা যাই বলা হোক না কেন সেই সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আসলে আগেই যেমনটা বললাম .... অন্য সব মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানি গুলোর দুই (ডুযেল) সিমের ফোন থাকলেও অ্যাপলের আইফোনে ডুযেল সিম অপশন নেই। কারণ....... ১/ আইফোনের ডুয়েল সিম না থাকার অন্যতম কারন ক্যারিয়ার লক।  ধরুন আপনি আমেরিকা থেকে ক্যারিয়ার লক আইফোন কিনেছেন। যা আমেরিকার AT&T সিম কোম্পানির সাথে চুক্তি করা।  তাই এই আইফোন কিনলে আপনি অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন আমেরিকার বাজার বিবেচনায়। তাই ঐ কোম্পানি নিশ্চই ঐ মোবাইলে অন্য কোম্পানির সিম ইউজ করার সুযোগ দেবে না।  আপনার ও হয়তো একই কোম্পানির দুটো সিম ইউজ করার দরকার নেই। আসলে আইফোন সাধারণত দুই ধরণের সেল হয়। ১/ ক্যারিয়ার লক ২/ ক্যারিয়ার আনলক। এখন এই ক্যারিয়ার লক সেট আপনি ভারতে নিয়...

মানসিক শান্তি ও মেয়েদের সাজ

Image
মেয়েরা সাজতে ভালো বাসে। মেয়েদের সাজগোজ নিয়ে অনেক রহস্য ও আছে। অনেকে এ নিয়ে তর্কবিতর্ক করে মজার ছলে । অনেকে আবার ঝগড়ার রেশ ধরে । তবে যেমন টা আগেই বললাম, মেয়েদের সাজারও অনেক রহস্য আছে । এটা শুনে হয়তো অনেকে বলবেন সাজগোজের আবার রহস্য থাকে নাকি ?? অনেকে বলবেন আজব তো !!! আবার অনেকে বলবেন ভারী চিন্তার বিষয় । আসলে এ বিষয়ে সবারই কম বেশি আগ্রহ আছে । বিবাহিত থেকে শুরু করে অবিবাহিত যুবক-ছেলে সকলেরই । মেয়েদের সাজতে তো ভালো লাগে কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন? হ্যাঁ, এর পেছনেও অনেক রহস্য আছে, আছে কিছু বাস্তবিক এবং কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে । মেয়েদের সাজ নিয়ে রহস্য এর শেষ নেই । মেয়েদের সাজতে ভালো লাগার কারন কি? এ জন্য চলুন প্রথমেই মেয়েদের চিন্তা-ধারার দিকে নজর দেওয়া যাক – মেয়েদের সাজতে ভালো লাগে কারণ ছবি আঁকতে যে আনন্দ পাওয়া যায়, মেয়েরা সেই আনন্দ খুঁজে পায় সাজগোজের মধ্যে । তাই মেয়েরা সবসময় ছবি আঁকার মতো করে সাজে। বেশিরভাগ মেয়েরা আয়নায় নিজেকে সুন্দর দেখতে খুব পছন্দ করে । তাই, অধিকাংশ সময় তাদের আয়নার কাছাকাছি দেখতে পাওয়া যায় । এছাড়াও অন্য মেয়ের চেয়ে নিজেকে আরো ফুট...