Posts

Showing posts from November, 2020

গণধর্ষণের প্রতিশোধ নেওয়া এক রবিনহুডের গল্প

Image
ইনি কে জানেন....??? ইনি ফুলন দেবী হ্যাঁ সেই দুর্ধর্ষ ডাকাত, দস্যুরানী, গণধর্ষণের প্রতিশোধ নেওয়া চম্বলের ত্রাস, যিনি দস্যুরাণী হয়েও ছিলেন মায়ারাণী, এবং সবশেষে লোকসভা সদস্য। ১৯৬৩ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের জালৌন জেলার ঘোড়া কা পুরয়া নামক অজ পাড়া গাঁয়ে হিন্দু ধর্মের নিম্ন বর্ন মাল্লার সম্প্রদায়ের (পেশা হচ্ছে নৌকা চালানো) এক দরিদ্র পরিবারে ফুলনের জন্ম। এরপর মাত্র ১১ বছর এর শিশু ফুলন এর বিবাহ দেওয়া হয় ৩০ বছর বয়সী পুট্টিলাল নামের এক লোকের সাথে যিনি ছিলেন অসৎ চরিত্রের পুরুষ। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে ফুলন পিতৃগৃহে ফিরে আসে। পিতৃগৃহে ফিরেই খুড়তুতো ভাই মায়াদীন এর রোষানলে পড়তে হয় তাকে। সে ফুলনের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ এনে থানায় মামলা করে। তিন দিনের জেল হয় ফুলনের, এবং এখানে ধর্ষনের শিকার হন ফুলনদেবী। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে পরিবার ও গ্রাম থেকে বর্জন করা হয়! এরপর ১৯৭৯ সালে এক ডাকাত দলের সাথে জড়িয়ে যায় ফুলন। যদিও কিভাবে সে জড়িয়ে গেল এ নিয়ে রয়েছে রহস্য। কেউ বলেন ডাকাত দল ফুলনের অগ্নিমূর্তি ও সাহসী স্বভাবের কারনে তাকে অপহরণ করে। আবার কেউ বলেন ফুলন সমাজের নির্যাতন ও অপমানের প...

অস্থি বিসর্জন কি এবং কেন

Image
পড়াশোনা করতে করতে আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস জানতে পেরেছি যেটা সম্পর্কে কেউ সচেতন নয়। জিনিসটা ছিল এমন... কেন আমরা মৃত দেহের অস্থি কে পবিত্র গঙ্গাতে বিসর্জন দিই? আসলে এর ধর্মীয় কারণ হচ্ছে যাতে মৃত ব্যাক্তি পরলোকে ভালো থাকে সুখপুর্ন স্বর্গীয় জীবন লাভ করে, ঠিক তো ? কিন্তু বাস্তবে তা নয়। এর পিছনে একটা বৈজ্ঞানিক কারণ নিহিত আছে। পবিত্র গঙ্গা ও অন্যান্য পবিত্র নদীর (দক্ষিণ ভারতের কাবেরী ) জল ব্যাপক ভাবে উপমদেশের বিস্তীর্ন অঞ্চল জুড়ে কৃষি কাজে ব্যবহৃত হয়। অস্থিতে (মৃতদেহের ছাই) অতিরিক্ত পরিমানে ফসফেট থাকে যা জলের মধ্য ফসফেটের পরিমান বাড়িয়ে তোলে। ফসফেট কৃষিকাজের জন্য অত্যন্ত অত্যাবশ্যক বিশেষত কৃষি ভূমির জন্য ও ফসলের শ্যস দানার জন্য। আর আমাদের শরীর প্রকৃতি থেকে যা কিছু গ্রহণ করে মৃত্যুর পর তা পুনরায় প্রকৃতি কে ফিরিয়ে দেয়। ফসফেট জমির উর্বরতা বাড়িয়ে তোলে এবং ফসলের উৎপাদন ক্ষমতা মাত্ৰা বৃদ্ধি করে। এটাই হলো অস্থি বিসর্জনের প্রকৃত কারণ।

দুর্ভাগ্যের বিনিময়ে ব্যবসা

Image
এই ছবিটি আমার মনকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে! ছবিটিতে যাকে দেখছেন তার নাম জুলিয়া প্যাস্তরানা । জুলিয়া প্যাস্তরানা, একজন দয়ালু হৃদয়ের তরুণ মেক্সিকান মহিলা, তবে তিনি “ The most hideous face” হিসেবে আখ্যায়িত। 1834 সালে মেক্সিকোতে একটি পার্বত্য অঞ্চলে তার জন্ম। তার জন্মের পর থেকেই তার চুলের এক অদ্ভুত বৃদ্ধি ছিল যা পরবর্তীতে তার সমস্ত শরীর জুড়ে ছেয়ে যায়। এইজন্য সমাজের কেউ তাকে মেনে নিতে পারেনি সবাই তাকে ডাইনী ভাবতো, সমাজ ও পরিবারে স্থান না পেয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। না খেয়ে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে ভিক্ষার জীবনযাপন বেছে নেন। তারপর একদিন এক ব্যাক্তির সঙ্গে পরিচিত হন যিনি সার্কাসে কাজ করতেন। লোকটি সার্কাসে কাজ করার জন্য প্রস্তাব দিল। এরপর জুলিয়া প্যাস্তরানা হয়ে উঠলেন সার্কাসের এক অদ্ভুদ চরিত্রের প্রাণী যা দেখার জন্য লোক ভিড় করতো ও টাকা দিতো। এই বিষয়টি তার খুব খারাপ লাগতো, তার মন কখনোই এমন কাজ করতে চাইতো না। কিন্তু সে খাবে কি, সে থাকবে কোথায়, অন্য কোনো বিকল্প তার হাতে ছিল না তাই নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি সার্কাসেই থেকে গেলেন। এরপর জুলিয়া প্যাস্তরানা...

বাহারি দেশে বাহারি বিরিয়ানি

Image
বিরিয়ানি আমার পছন্দের খাবারের তালিকায় পড়ে না। তবে পছন্দ না হলেও বেশ কয়েকবার খেয়ে দেখেছি । কাজের সূত্রে দেশের অনেক জায়গায় অনেক শহরে গিয়েছি। তার মধ্যে অনেক জায়গায় বিরিয়ানি খেয়ে দেখেছি। আসলে আমাদের দেশে যেমন হাজারো বৈচিত্র তেমন ই আমাদের দেশে বিরিয়ানির ও হাজারো বৈচিত্র আছে। তার মধ্যে আমি কোন কোন গুলো খেয়েছি বলি.... ১) কলকাতা বিরিয়ানি - আওআধ এর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ কলকাতায় এই বিরিয়ানির প্রচলন করেন, আলু ও ডিম সহযোগে বানানো হাল্কা মশলাদার কিন্তু স্বাদে পরিপূর্ণ এই বিরিয়ানিটি আমার বাকিগুলোর চাইতে ভালো লেগেছে। ২) লখনউ বিরিয়ানি - এখানকার বিরিয়ানি অনেকটা কলকাতা বিরিয়ানির মত, তবে আলু থাকেনা, মাংস অতি সুস্বাদু। এটাও বেশ ভালো। ৩) হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি - হায়দ্রাবাদের বিরিয়ানি একটু মসলাদার, একটু ঝাল, ভাত এর চেয়ে মাংসে বেশি ফ্লেভার থাকে। সাথে সালান নামক একটি নারকোল ও মসলা মিশ্রিত ঝাল ঝাল ঝোল দেয়। এতে ডিম থাকে। আমার বউ এর মতে এটা খেতে দারুণ। আমার অতটা ভালো লাগেনি। ৪) মালাবার বিরিয়ানি/ কেরালা বিরিয়ানি এই বিরিয়ানি - সুগন্ধি ছোট চালের বিরিয়ানি। এতে কাজু, বেরেস্তা এইসব থাকে। কিছুটা হাল্কা ...

বিশ্ব মানচিত্রের আমেরিকার দাদাগিরি

Image
এই পৃথিবীর অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে যদি এই পৃথিবী কে ভাগ করতে থাকা শক্তি গুলো লিড করতে থাকে। তাই যদি এই পৃথিবী কে, এই বিশ্ব কে এই মানব সভ্যতা কে সুরক্ষিত রাখতে হয় তাহলে আমাদের এমন এক Leadership চাই, এমন এক World leadership চাই যা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নয় বরং পৃথিবীর প্রত্যেক টি মানুষ কে এক সূত্রে বাঁধতে পারে। Not the one who divides But the one who unites. আর সাম্প্রতিক সময়ে এ রকমই কিছু হয়েছে আমেরিকার সাথে। যেখানে জোসেফ বাইডেন/জো বাইডেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসাবে মনোনীত হয়েছেন। ওনার Motto কাউকে Divide করা নয় বরং সবাইকে Unite করা। যা আমেরিকা তথা সমগ্র বিশ্বের জন্য এক শুভ সংকেত। কেননা আমেরিকা কে সমগ্র বিশ্বের সুপার পাওয়ার' হিসেবে গণ্য করা হয়। এই সেখানে গদি তে যদি এরকম কেউ আসীন হয়ে যায় তাহলে পৃথিবীর ভালো হওয়া অবশ্যম্ভাবী। আজ এই লেখায় বলব জো বাইডেনের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর আমেরিকার উপর তার কি প্রভাব পড়বে। আমেরিকা কি দুর্বল হয়ে যাবে? নাকি আরো বেশি শক্তিশালী হবে? কেন সমগ্র বিশ্ব আমেরিকার সাথে যুদ্ধে যেতে ভয় পায় ? সে রাশিয়া হোক অথবা চী...