বিশ্ব মানচিত্রের আমেরিকার দাদাগিরি
এই পৃথিবীর অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে যদি এই পৃথিবী কে ভাগ করতে থাকা শক্তি গুলো লিড করতে থাকে।
তাই যদি এই পৃথিবী কে, এই বিশ্ব কে এই মানব সভ্যতা কে সুরক্ষিত রাখতে হয় তাহলে আমাদের এমন এক Leadership চাই, এমন এক World leadership চাই যা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নয় বরং পৃথিবীর প্রত্যেক টি মানুষ কে এক সূত্রে বাঁধতে পারে।
Not the one who divides But the one who unites.
আর সাম্প্রতিক সময়ে এ রকমই কিছু হয়েছে আমেরিকার সাথে।
যেখানে জোসেফ বাইডেন/জো বাইডেন নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হিসাবে মনোনীত হয়েছেন।
ওনার Motto কাউকে Divide করা নয় বরং সবাইকে Unite করা।
যা আমেরিকা তথা সমগ্র বিশ্বের জন্য এক শুভ সংকেত।
কেননা আমেরিকা কে সমগ্র বিশ্বের সুপার পাওয়ার' হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই সেখানে গদি তে যদি এরকম কেউ আসীন হয়ে যায় তাহলে পৃথিবীর ভালো হওয়া অবশ্যম্ভাবী।
আজ এই লেখায় বলব জো বাইডেনের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর আমেরিকার উপর তার কি প্রভাব পড়বে। আমেরিকা কি দুর্বল হয়ে যাবে? নাকি আরো বেশি শক্তিশালী হবে?
কেন সমগ্র বিশ্ব আমেরিকার সাথে যুদ্ধে যেতে ভয় পায় ?
সে রাশিয়া হোক অথবা চীন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার পুতিন এবং চীনের শি- জিং - পিং তার দিকে সাগ্রহে তাকিয়ে রয়েছেন।
জো বাইডেন নিজেও তার Soft corner চীনের প্রতি দেখিয়েছেন।
কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে তিনি চীন কে আমেরিকার ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে দেবেন।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কেন আমেরিকা এত শক্তিশালী হয়ে গেল ?
আর কেনই বা অন্য কোনো দেশ আমেরিকার সাথে লড়াইয়ে যাওয়ার আগে একশো বার ভাবতে বাধ্য হবে?
ইউএস এয়ারফোর্স কে এমনি এমনি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ এয়ারফোর্স বলা হয় না।
কারণ ইউএস এয়ারফোর্স টেকনোলজিতে পরিপূর্ণ।
আর এই কারনেই U.S মিলিটারির প্রত্যেকটি যুদ্ধবিমানে Advanced technology রয়েছে।
আজ আমেরিকার কাছে পনেরো হাজারেরও বেশি যুদ্ধবিমান রয়েছে।
যারা অতন্দ্র প্রহরীর মতো ইউএস নেভি, ইউএস কোস্টগার্ড, ইউএস আর্মি এবং ইউএস মেরিন অর্থাৎ নৌবাহিনীর সেবা করে চলেছে।
২০১৭ সালে ৫৩০০ টা যুদ্ধবিমান, ৪০৬ টা ব্যালিস্টিক মিসাইল, এবং ১৭০ টা মিলিটারি স্যাটেলাইট কে US Air Force এ শামিল করা হয় যা যেকোনো দেশের থেকে অনেক অনেক গুণ বেশি।
একবার ভাবুন তো..... ১৭০ টা মিলিটারি স্যাটেলাইট!!!
মাঝে মাঝে তো মনে হয় সারা বিশ্বের সবার উপর আমেরিকার নজর রয়েছে।
এত গুলো মিলিটারি স্যাটেলাইট থাকার পর আমেরিকার নজরে সারা বিশ্ব থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক ।
আর এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকার উপর অন্য কোন দেশ হামলার কথা কীভাবেই বা চিন্তা করতে পারে!!!
এছাড়াও US Air Force এর কাছে রয়েছে 12th Technology যুদ্ধবিমান যার শব্দ সাধারণের এয়ারক্রাফট এর তুলনায় অনেক গুন কম হয়।
এই 12th Technology তে তৈরি হওয়া যুদ্ধবিমান গুলো কে কোনো রাডার ই ডিটেক্ট করতে পারে না।
F-22 Raptor এবং F-35 JSF
এইরকম ই দুটো যুদ্ধবিমান যা আমেরিকার কাছে রয়েছে, যা 12th Technology ওপর based করে তৈরি।
আর এই দুটোই ইউএস এয়ারফোর্সে শামিল রয়েছে।
এই দুটো ছাড়াও ইউএস এয়ারফোর্সের কাছে 12th Technology তে তৈরি সবচেয়ে বিপজ্জনক যুদ্ধবিমান B-2 Spirit রয়েছে।
যা ইতিমধ্যেই ইউএস এয়ারফোর্সের সাথে যুক্ত হয়েছে।
12th Technology তে তৈরি হওয়া এই যুদ্ধবিমান গুলোর বিশেষত্ব হলো এই বিমান গুলো যে কোনো রাডার কে খুব সহজেই ধোকা দিতে পারে।
তাতে সেই রাডার সিস্টেম মাটিতেই থাকুক অথবা সমুদ্রের তলদেশে।
এই প্রসঙ্গে বলি
যে কোন যুদ্ধবিমান কে ডিটেক্ট করার জন্য রাডার সিস্টেম কে RCS অর্থাৎ Radar cross-section এর প্রয়োজন পড়ে।
RCS থেকে যখন কোনো রাডার সিস্টেম নিজের সিগন্যাল কে হাওয়াতে ছাড়ে এবং এরপর যখন সেই সিগন্যাল কোন এয়ারক্রাফটের কাছে বাঁধা পেয়ে রাডার সিস্টেমের রিসিভারে ফিরে আসে তখন রাডার সিস্টেম ডিটেক্ট করে বা করতে পারে যে, সেই বিমানটা কোন বিমান।
কিন্তু 12th Technology তে তৈরি হওয়া এই আমেরিকান যুদ্ধবিমান গুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে শত্রুপক্ষের রাডার থেকে বেরিয়ে আসা সিগন্যাল কে এই বিমান গুলো অনায়াসে নিজের মধ্যেই Absorb করে নেয় অর্থাৎ শুষে নেয়।
আর যখন রাডার সিগন্যাল কে এই বিমান গুলো নিজের মধ্যেই শুষে নেয় তখন কোন ধরনের কোন সিগন্যাল ই শত্রুপক্ষের রাডারে ফিরে যায় না।
যে কারণে শত্রুপক্ষের রাডার সিস্টেম এটা বুঝতেই পারেনা যে তার উপরে শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ উড়ছে।
আর F-22 Raptor যুদ্ধবিমান এর ক্ষেত্রে যেটা উল্লেখযোগ্য ব্যাপার তা হলো এই বিমান গুলো ৮৩,৫০০ পাউন্ডের ওজন খুব সহজেই বহন করতে পারে।
আর এই F-22 Raptor যুদ্ধবিমানের সবথেকে অবাক করা বিষয় হলো এই যুদ্ধবিমানের RCS অর্থাৎ Radar cross-section মাত্র .০০০১ মিটার স্কোয়ার।
যার পরিষ্কার অর্থ দাঁড়ায় শত্রুপক্ষের যেকোনো রাডার সিস্টেম এর কাছে এই এয়ারক্রাফট একটা ছোট্ট পিঁপড়ের মতো দেখাবে।
এগুলো ছাড়াও ইউএস এয়ারফোর্সের কাছে আরও একটা ভয়ানক এয়ারক্রাফট রয়েছে যার নাম Northrop Grumman B-2 Spirit.
যা ভীষণ ঘাতক এক যুদ্ধ বিমান।
এই বিমান মুহূর্তের মধ্যে ভীষণ রকম বোমাবর্ষণ করতে পারে।
তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই অন্য কোন দেশের কোন রাজার সিস্টেম এই বিমান গুলো কে ডিটেক্ট করেও নেয় তবুও কোন দেশের পক্ষে এই বিমানগুলোর ওপরে মিসাইল হামলা করা সহজ হবে না।
কারণ এই বিমানে থাকা টেকনোলজি শত্রুপক্ষের যেকোনো গাইডেড মিসাইল কে লক্ষ্যচ্যুত করার ক্ষমতাও রাখে।
আর এই কারনেই আমেরিকার দেখাদেখি এখন চীন এবং রাশিয়া এই ধরনের টেকনোলজি সমৃদ্ধ যুদ্ধ বিমান তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
যদি চীনের কথা বলি তাহলে আজ চীনের কাছে 12th Technology তে তৈরি দুটো সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী যুদ্ধবিমান রয়েছে যার নাম Chengdu J-20 এবং Sukhoi Su-57
তাই হয়তো চীনের যুদ্ধবিমান আমেরিকার 12th Technology সমৃদ্ধ যুদ্ধবিমান গুলোর সাথে সমানে সমানে টক্কর দিতে পারবে।
কিন্তু আসল ফয়সালা তো তখনই হবে যখন কোন যুদ্ধ শুরু হবে এবং আকাশে সেই যুদ্ধবিমান ই রাজত্ব করবে যার দেশের এয়ারক্রাফট আকাশে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে।
ইউএস মিলিটারির দ্বিতীয় সব থেকে বড় শক্তি হল তার নেভি।
বিশেষ করে ইউ এস নেভির Super carriers.
আজ আমেরিকার কাছে এগারো টা Limit class supercarriers রয়েছে যা পুরোপুরি ভাবে পরমাণু অস্ত্রে পরিপূর্ণ।
যে কেউ জানলে হয়তো অবাক হবেন যে, ইউএস নেভির এই Supercarriers গুলো পৃথিবীর সর্ববৃহৎ Supercarriers গুলোর মধ্যে অন্যতম ।
ইউএস নেভির এই Supercarriers গুলো এক লক্ষ টন ওজন নিয়েও অনায়াসে সমুদ্রে ভেসে থাকতে পারে।
এছাড়াও এই Supercarriers গুলো নিজের সাথে ৭০ টা যুদ্ধবিমান কে বয়ে নিয়ে যেতে পারে।
সব মিলিয়ে দেখতে গেলে এই Supercarriers গুলো সমুদ্রে ভাসমান একটা ছোট্ট শহরের মত।
এই Limit class supercarriers গুলো তে সুরক্ষার দিক থেকে নানা ধরনের হাতিয়ার রয়েছে যা এই Supercarriers গুলোর সিকিউরিটির ক্ষেত্রে যথেষ্ট।
কিন্তু তা সত্ত্বেও যেভাবে এই আমেরিকান Supercarriers গুলো কে নিরাপত্তা দেওয়া হয় তা অবাক করার মত।
এই Supercarriers গুলোর সাথে সাথে প্রতিমুহূর্তে গাইডেড মিসাইল এর একটি Cruise ship যায়।
শুধু তাই নয়.....
এর সাথে সাথে যায় ঝাঁকে ঝাঁকে Destroyer
এছাড়াও যে মুহূর্তে এই Supercarriers গুলো সমুদ্রের উপর দিয়ে যেতে থাকে তখন তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে অ্যাটাকিং সাবমেরিন চলতে থাকে।
এবং সবশেষে এই সব কিছু কে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ ও এই Supercarriers গুলোর পেছনে পেছনে যেতে থাকে।
ঠিক যেন একটা পুরো শহর শত্রুকে আক্রমণ করার জন্য রেডি হয়ে আছে।
এরপর যখন এই Supercarriers গুলো থেকে যুদ্ধবিমান টেক অফ এবং ল্যান্ডিং করে তখন অন্যান্য জাহাজ এই Supercarriers গুলো কে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকে।
অন্যান্য জাহাজের উপর সেই দায়িত্ব থাকে যাতে তারা এই Supercarriers গুলো কে রক্ষা করে।
আজ ইউ এস নেভির কাছে এই ধরনের নয়টি Carrier strike group রয়েছে যা প্রতি মুহূর্তে আমেরিকার সুরক্ষার জন্য তৈরী থাকে।
এগুলো ছাড়াও বর্তমানে ইউএস নেভি আরো একটি নতুন এয়ারক্রাফট তৈরি শুরু করেছে যার নাম Gerald R. Ford Class
এই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার বাকি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এর তুলনায় অনেক বেশি অ্যাডভান্স এবং শক্তিশালী হবে, এবং এই ধরনের এয়ারক্রাফট বানানোর জন্য বাকি সকল দেশের বেশ কয়েক দশক লেগে যাবে।
এতটাই উন্নত এই এয়ারক্রাফট।
একবার ভেবে দেখুন......
সম্পূর্ণ আমেরিকা চারিদিক থেকে এই সমস্ত ক্যারিয়ার দিয়ে ঘেরা থাকবে এবং সমস্ত Limit class supercarriers আমেরিকাকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে থাকবে।
অর্থাৎ এতকিছুর পরেও যদি অন্য কোন দেশ আমেরিকা কে আক্রমণ করার সাহস দেখায় তাহলে নিশ্চিত ভাবেই ধরে নিন যে পারমাণবিক অস্ত্রে পরিপূর্ণ এই সমস্ত Limit class supercarriers এবং তার সাথে আরো বাকি যেসব Carriers এবং জাহাজ এবং ডেস্ট্রয়ার রয়েছে তা মুহূর্তের মধ্যে যে কোন দেশকে ধুলোয় মিশিয়ে দেবার পক্ষে যথেষ্ট।
ইউএস মিলিটারি তৃতীয় সর্বোচ্চ শক্তি হলো তার পরমাণু এবং Intercontinental ballistic missile.
যাকে ICBM ( আইসিবিএম) ও বলা হয়।
ICBM হল সেই সমস্ত মিসাইল যেগুলো কে মাটি থেকে deploy করা হয়।
শুনলে অবাক হবেন যে এই সমস্ত মিসাইল হাইপারসনিক স্পিডে ট্রাভেল করে।
এই মিসাইল গুলো খুব সহজেই মাটি থেকে ১০০০ কিলোমিটার উপরে উঠে যায়।
এবং বায়ুমন্ডল কে ক্রস করার পর এই সমস্ত মিসাইল স্পেসে পৌঁছে যায়।
যার পর এই সমস্ত মিসাইলের পেছনে থাকা রকেট খুলে আলাদা হয়ে যায়।
স্পেসে পৌঁছানোর পর এই সমস্ত মিসাইল তার Assigned target এ নিখুঁত এবং অভ্রান্ত হামলা করে।
আজ আমেরিকার কাছে এই ধরনের প্রায় ৪০০ টি ICBM মিসাইল রয়েছে যা আমেরিকার
Wyoming, Montana, এবং
North Dakota প্রদেশ এ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বলি এই ICBM মিসাইল আমেরিকার কোন নতুন টেকনোলজি নয় ,বরং এই টেকনোলজির ওপর ভিত্তি করেই তৈরি LGM-30 Minuteman Missile বহু বছর আগের থেকেই ইউএস মিলিটারিকে সেবা করে চলেছে।
এখানে বলে রাখা দরকার যে এই মিসাইল ১৯৬০ সালে তখন তৈরি করা হয়েছিল যখন রাশিয়ার তরফ থেকে আমেরিকা ক্রমাগত হুমকি শুনছিল।
ঠান্ডা লড়াই থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ICBM এর এই মিসাইল গুলো তে ক্রমাগত Advancement এবং Modernization হয়ে আসছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউএস মিলিটারি নিজেদের Military equipment কে Upgrade করার জন্য ৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
যার মধ্যে সবথেকে বেশি খরচ হয়েছে Rocket propulsion, guided system, এবং fly control system কে Upgrade করার জন্য।
এছাড়াও LGM-30 Minuteman Missile এর ভেতরের সমস্ত প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি কে বদলে ফেলে অনেক বেশি অ্যাডভান্স করে দেওয়া হয়েছে।
আর এই কারনেই আজ ৬০ বছর পরেও ইউএস মিলিটারি এই মিসাইল কে ব্যবহার করছে।
এবং এই মিসাইল গুলো আজও Operational.
এই প্রসঙ্গে বলি....
LGM-30 Minuteman Missile এর নতুন ভার্সন তার পুরনো ভার্সনের তুলনায় অনেক বেশি অ্যাডভান্স।
LGM-30 Minuteman Missile এর লেটেস্ট ভার্সনের মারন ক্ষমতা প্রায় আট হাজার মাইল যা আমাদের পৃথিবীর ডায়ামিটার এর থেকেও অনেক বেশি।
আমাদের পৃথিবীর ডায়ামিটার ৭,৯১৭ মাইল।
ইউএস মিলিটারির এই মিসাইল ৩৩০ কিলো টন পরমাণু হাতিয়ার বয়ে নিয়ে যেতে পারে।
যা হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে উপর ফেলা পরমাণু বোমার তুলনায় কুড়ি গুণ বেশি।
শুধু তাই নয় এই মিসাইল গুলো কে একবারের চেষ্টা তেই আলাদা আলাদা জায়গায় টার্গেট করা যেতে পারে।
এই টেকনোলজি কে বলা হয় MIRV
অর্থাৎ multiple independent reentry vehicle.
একটা ব্যাপার খুব পরিস্কার যে কোন দেশ যদি আমেরিকার সাথে সংঘর্ষে জড়াতে যায় তাহলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই দেশের ওপর এই মিসাইল এর সাহায্যে ক্রমাগত পরমাণু হামলা হতে শুরু করবে।
এবং তখন আমেরিকার হাত থেকে বাঁচা সেই সব দেশের পক্ষে মুশকিল হয়ে যাবে।
ইউএস মিলিটারির চতুর্থ সবচেয়ে বড় শক্তি হলো PGM (Precision-guided munition)
যাকে স্মার্ট বোম ও বলা হয়।
এগুলো এমন এক ধরনের বোমা যাকে যে কোন জায়গা থেকে Deploy করা যেতে পারে।
আর এই ধরনের বোমা গুলো তখন ব্যবহার করা হয় যখন স্পেসিফিক কোন জায়গা কে মুহুর্তের মধ্যে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
এই বোমা গুলো এতটাই স্মার্ট যে এই বোমা গুলো শুধুমাত্র তার টার্গেট কেই বিস্ফোরণে ধ্বংস করে বাকি আর কোনো কিছুকে নয়।
ধরা যাক কোন একটা বিল্ডিং কে বিস্ফোরণের উড়িয়ে দিতে হবে তখন আমেরিকান সেনা এই PGM এর ব্যবহার করে।
যে বিল্ডিং বিস্ফোরণে ওড়াতে হবে একটা যুদ্ধবিমান প্রথমে সেই বিল্ডিং কে টার্গেট করে এবং তারপর সেই বোমা কে Deploy করে দেয়।
Deploy হওয়া মাত্রই সেই বোমা শুধুমাত্র সেই বিল্ডিং কেই ধ্বংস করবে অথচ তার পাশের বিল্ডিং বা অন্য কোন কিছুর ওপর বিন্দুমাত্র ক্ষতি হবে না।
এখানে বলে রাখা দরকার
যখন প্রথম গলফ যুদ্ধ হয়েছিল তখন এই বোমার সাফল্যের হার ছিল ৭৫%
এবং মাত্র ৯% PGM ই ফায়ার করা হয়েছিল।
অর্থাৎ টার্গেটে আঘাত করার ক্ষেত্রে এই বোমা অন্যান্য বোমার তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে।
PGM আসার পর থেকেই গাইডেড মিসাইল এর ব্যবহার ইউএস মিলিটারিতে কম হয়ে গেছে।
এবং আজ ইউএস মিলিটারি ভূমি এবং জল দুদিক থেকেই এই পিজিএম এর ব্যবহার করছে।
বেশিরভাগ পিজিএম Global positioning system অর্থাৎ GPS এর ব্যবহার করে যখন কোন টার্গেট কে খুঁজে তাকে ধ্বংস করতে হয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে একটা সমস্যা আছে।
অনেক সময় দেখা যায় খারাপ আবহাওয়ার কারণে যদি স্যাটেলাইটে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তখন এই PGM জিপিএস ব্যবহার করতে পারে না।
এবং তখন বাধ্য হয়েই মিশন রদ করতে হয়।
আর এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য বর্তমানে Label research surface welfare centre এবং ইউএস মিলিটারি আর্মি একযোগে ল্যাবরেটরি তে একটি এমন হাতিয়ার তৈরি করেছে যার এসব হামলার ক্ষেত্রে জিপিএস এর প্রয়োজন ই হবে না।
আর তাদের এই প্রজেক্ট এর নাম হলো MTAR অর্থাৎ Moving target artillery round.
আমেরিকার MTAR টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া এই সমস্ত মিসাইল গুলো যে কোনো ধরনের ফ্লায়িং টার্গেট অথবা মুভিং অবজেক্ট কে খুব সহজেই ধ্বংস করে দিতে পারে।
এই ধরনের বিষয় গুলো তৈরীর জন্য আমেরিকা নানা ধরনের Guiding techniques এর ব্যবহার করেছে।
যে টেকনিক আগে গাইডেড মিসাইল বানানোর ক্ষেত্রে ফলো করা হতো।
এই মিসাইল গুলোর সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো এই মিসাইল গুলো খুব সহজেই M777 A2 এবং M 109A7155 self prepared artillery system
এর মত ছোট কামান দিয়েও সহজে নিশানায় আঘাত করা যায়।
এছাড়াও এই মিসাইল গুলোর রেঞ্জ বাড়ানোর জন্য এরমধ্যে রকেট বুস্টার লাগিয়েও ব্যবহার করা যায়।
সর্বশেষ কারণ যে কারণে জন্য আমেরিকার সাথে যে কোন দেশ যুদ্ধে যেতে ভয় পায় তা হল ড্রোন
আমরা সবাই জানি Unmanned aerial vehicles এবং ড্রোন কিভাবে কাজ করে, কিভাবে এসব ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
ইউএস মিলিটারি এই সমস্ত ড্রোনের ব্যবহার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করে আসছে।
ইউএস মিলিটারি তাদের প্রত্যেকটি অপারেশনে ড্রোন ব্যবহার করে।
যদিও প্রথমদিকে ইউ এস মিলিটারি এই সমস্ত ধরনের ব্যবহার কেবলমাত্র surveillance এর জন্য করত।
কিন্তু ৯/১১ ঘটনার পর থেকেই এই সমস্ত ড্রোন কে অস্ত্রে পরিপূর্ণ করে দেওয়া হয়েছে।
যার পর থেকে এই সমস্ত ড্রোনের ব্যবহার আতঙ্কবাদ শেষ করার কাজে এবং অনেক রকমের বড় ধরনের অপারেশন এর জন্য ইউএস মিলিটারি ব্যবহার করছে।
আগামী দিনে ইউএস মিলিটারি এইরকম আরও এক হাজার ড্রোনের ব্যবহার করতে চলেছে।
যার টেকনোলজি ভীষণ উন্নত মানের হবে এবং তাদের কে পরাস্ত করা অসম্ভব হবে।
Lockheed Martin RQ-170 sentinel এবং Boeing MQ-25 Stingray এমনই দুটি ড্রোন যা তাদের ফাইনাল ডেভেলপমেন্ট রয়েছে এবং খুব তাড়াতাড়ি এই দুটি ড্রোন কে ইউএস মিলিটারিতে শামিল করে নেওয়া হবে।
এই ড্রোন গুলিতে এমন ধরনের টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে যাতে এই সমস্ত ড্রোন গুলো জ্বালানি শেষ হবার পর নিজে থেকেই হাওয়া তে থাকাকালীন ই নিজেকে রি ফুয়েল করে নিতে পারে।
এই সমস্ত ড্রোন গুলো এতটাই উন্নত যে এগুলো হাওয়াতে বেশ কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে এবং নিজের টার্গেটের জন্য অপেক্ষা করতে পারে।
আগামী দিনে ইউএস মিলিটারি আরও অনেক বেশী শক্তিশালী হবে।
যার ফলশ্রুতি হিসেবে ইউএস মিলিটারি কে কোন মানব সেনার ওপর নির্ভর থাকতে হবে না।
কোন মানব সেনার সাহায্য ছাড়াই যেকোনো টার্গেট কে মুহূর্তের মধ্যেই আমেরিকা ধ্বংস করে দেবে।
ইউএস মিলিটারি এই পাঁচটা দিক রয়েছে যে কারণে অন্য কোনো দেশ কখনোই আমেরিকার সঙ্গে ঝামেলায় জড়াতে চাইবে না।
কারণ যেকোন ধরনের যুদ্ধে আমেরিকার এইসব হাতিয়ার কে পরাস্ত করা কোন দেশের পক্ষে সম্ভব না।
আর হয়তো এই কারণের জন্যই আমেরিকাকে এত শক্তিশালী দেশ হিসেবে মানা হয়।
এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবে মানা হয়।
তাই আমার মতে এমন একটা দেশের নেতৃত্ব ভার এমন একজন ব্যক্তির হাতে থাকা দরকার যিনি Dividing policy নয় বরং Uniting policy তে বিশ্বাসী হবে।
সমাজে এবং মানুষে মানুষে হিংসে দ্বেষ সৃষ্টি করবে না বরং একসূত্রে গাঁথার কাজ করবে।
এমন মানুষেরাই এই পৃথিবী কে বাঁচাতে পারে, এমন মানুষেরাই এই পৃথিবী কে সুরক্ষিত রাখতে পারে।
Comments
Post a Comment