Posts

প্রেম ও দেহ নিরপেক্ষতা

Image
প্রেম দেহ নির্ভর নাকি মন নির্ভর এটা নিয়ে অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন । অনেক মেয়ে আছে যারা সেক্স করতে চায় না, সেক্স জিনিসটাকে ঘেন্না করে, তারা বলে "প্রেম দেহনির্ভর নয়, প্রেমের মতো পবিত্র জিনিসকে কখনই দৈহিক নোংরামি আর উপভোগযন্ত্র হিসেবে ভাববেন না" কিন্তু তাদের এই কথা তে অবশ্যই ভুল আছে। কারণ প্রেম অবশ্যই দেহনির্ভর। একটু লজিক দিয়ে ভাবুন তো, কেন একটা ছেলে আর একটা মেয়ের মাঝে প্রেম হয় কিন্তু কেন একটা ছেলে আর আরেকটা ছেলের মাঝে প্রেম হয় না? কেন একটা মেয়ে আর আরেকটা মেয়ের মধ্যে প্রেম হয় না? হলেও সেটা পৃথিবীতে অনেক কম দেখা যায় কেন? এইজন্যেই প্রেম দেহনির্ভর। আপনি এখন আমাকে বলে বসবেন "মশাই, আপনি এতটা বিকৃত মস্তিষ্কের কেন? যৌনতা ছাড়া কি অন্য কিছুই আপনি বোঝেন না?" আমি বলবো, "আপনি অন্য কিছুর কথা বলছেন? অন্য কিছুটা কি? পদার্থবিজ্ঞান? রসায়ন? গণিত? ইকোনোমিক্স? হিস্ট্রি? এই সমাজ? নাকি দূরবর্তী গ্যালক্সী আর ইউনিভার্স?" যদি আপনি অন্য কিছুর কথায় আসেন, সেখানেও যৌনতা দেখতে পাবেন। পদার্থবিজ্ঞানের কথা বলবেন? তাহলে শুনুন পদার্থবিজ্ঞানে সবচেয়ে বড় নামকরা জনপ্রিয় বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টা...

প্রেম বনাম ভালোবাসা

Image
"একটা মেয়ের শরীরের গন্ধ তোমার ভালো লাগে,এটা হচ্ছে প্রেম । আরেকটা মেয়ে আছে যাকে তুমি অনুভব করো,যাকে ভালো লাগার জন্য তার উপস্থিতি কিংবা শরীরের গন্ধ লাগে না,এটা হচ্ছে ভালোবাসা! একটা মেয়ের সাথে রুমডেট করলে তুমি আনন্দ পাও। আরেকটা মেয়ে আছে যার কথা ভাবলেই তুমি আনন্দ পাও, প্রথমজন হচ্ছে তোমার প্রেমিকা,আর দ্বিতীয়জন হচ্ছে তোমার ভালোবাসার মানুষ ! তোমার বন্ধু মহলে একটা মেয়ে আছে যার সাথে তুমি গাঘেঁষে বসার জন্য অস্থির হয়ে থাকো, এই মেয়েটা হচ্ছে তোমার কামনার বস্তু । ঠিক একইভাবে তোমার মস্তিস্কের অন্দরমহলে একটা মেয়ে আছে যার সাথে গা ঘেঁষে বসার জন্য তুমি অস্থির না,কিন্তু তার অনুপস্থিতির জন্য তুমি অস্থির,তার সাথে কথা বলার জন্য তুমি অস্থির,এই মেয়েটা হচ্ছে তোমার ভালোবাসার মানুষ ! একটা মেয়ের উলঙ্গ ছবি দেখার জন্য সবসময় তুমি অপেক্ষা করো,আরেকটা মেয়ে আছে যার উলঙ্গ ছবি তোমার মাথাতেও আসে না,চাইলেও তুমি আনতে পারো না,প্রথমজন হচ্ছে তোমার প্রেমিকা,পরের জন হচ্ছে তোমার ভালোবাসা ! একটা মেয়ের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলার পরও তুমি মেয়েটার কথা সেভাবে চিন্তা করো না,সবকিছু ফোনের ওই কথা বলা পর্যন্তই । কিন্তু এমন একজন ...

মা জীবনের এক বিন্দু জীবনের এক সম্পূর্ণ পরিধি

Image
একটি সংবাদিক সম্মেলনে এক সংবাদিক ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন।-- "তোমার মা এখনো তোমার সাথে থাকে কেন? তুমি তো মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার সাহায্য করো, তবে তুমি কেন তোমার মায়ের জন্য একটি বাড়ি বানিয়ে দাও না?" ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো: "আমার মা বহু কষ্ট করে আমাকে বড় করেছেন এবং তিনি আমার জন্য তার জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলেন, একটা সময় তিনি ক্ষুধার্ত থেকে ঘুমাতে যেতেন, শুধু আমাকে খেতে দিতেন, সেই সময় আমাদের কাছে কোন টাকা ছিল না। আমি আমার প্রথম জুতো কিনতে ৭ দিনের মধ্যে ৭ দিন রাতে ক্লিনার হিসাবে কাজ করেছি, যাতে আমি একজন খেলোয়াড় হতে পারি। আমার সমস্ত সাফল্য আমি তাকে উৎসর্গ করেছি এবং আামাকে আদর করে মানুষের মতো মানুষ বানানোর জন্য তাকে অনেক ধন্যবাদ এবং যতদিন তার জীবন আছে, আমি চাই আমার মা সর্বদা আমার পাশে থাকুন, অর্থ দিয়ে সব কিছু হয় না, আমি যা দিতে পারি তাকে, সবকিছুই তার আছে কিন্তু সন্তানের ভালোবাসা যত্ন আর সেবার চেয়ে বড় কিছু হয় না। পৃথিবীতে তিনি আমার সবচেয়ে বড় আশ্রয় এবং বিধাতার থেকে পাওয়া আমার জন্য সবচেয়ে বড় উপহার।
Image
পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত চিত্রকলা রয়েছে তার মধ্যে বিশ্ব বিখ্যাত ইউরোপিয়ান চিত্রকর  Peter Paul rubens এর আঁকা Cimon & Paro চিত্রকলা একটি অন্যতম চিত্রকলা। এই চিত্রটি কে তিনি ১৬৩০ থেকে ১৬৪০ সালের মধ্যে তিনি ই চিত্রায়িত করেন।  দীর্ঘ দশ বছর ধরে তিনি এই চিত্রটি আঁকেন। আজকের লেখায় উন্মোচিত করবো এই ছবিতে লুকিয়ে থাকা রহস্য। ছবিতে থাকা লোকটির নাম সিমন(Cimon) আর মেয়েটির নাম পেরো(Pero)। সম্পর্কে ওরা বাবা ও মেয়ে। দাঁড়ান, এক্ষুনি কিছু ভেবে বসবেন না। সিমনকে কোনো এক অপরাধের জন্যে শাস্তিস্বরূপ 'অনাহারে মৃত্যুদণ্ড' দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছিলো। পেরো ছিলো সিমনের একমাত্র কন্যা। পেরো তার বাবাকে কারাগারে দেখতে যেতো। যেহেতু, বাবার শাস্তি ছিলো 'অনাহারে মৃত্যুদণ্ড' তাই কারাগাররক্ষীরা পেরোকে কোনো খাবার নিয়ে কারাগারের ভেতরে যেতে দিতো না। মাসের পর মাস পেরিয়ে যায়, সিমন অনাহারে থাকে, কিন্তু তার মৃত্যু হয় না। কারাগাররক্ষীরা অবাক হয়ে গেলো। এ কী করে সম্ভব। তারা পেরোর উপর নজর রাখতে লাগলো। তারপরে ওরা যা দেখলো সেটা ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন। পেরো তার বাবাকে স্তনদুগ্ধ পান করিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিল...

পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক হাতিয়ার

Image
 একটা বিশাল বড় মাপের শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়। এবং সেই বিস্ফোরণের সাথে সাথেই প্রচুর আগুনের গোলা, আলো এবং ধোঁয়ার পুঞ্জিভূত মেঘ তৈরি হয়। এবং যে বা যারা সেই ধোঁয়ার কাছাকাছি আসে তারাও মুহুর্তের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যায়। এই ধ্বংসলীলার ছবি Cobalt bomb এর বিস্ফোরণ এর। যখনই কোন কোবাল্ট বোমা বিস্ফোরণ হয় তখন সমগ্র জনজীবন এ ত্রাহি ত্রাহি শুরু হয়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যে বড় বড় বাড়ি এবং বিল্ডিং ধুলোয় মিশে যায়। চারিদিকে শুধু লাশ আর লাশ, হাহাকার চিৎকার আর রক্তে ভর্তি হয়ে যায় চারিদিক। আর ভাগ্যক্রমে যারা এই বিস্ফোরণের হাত থেকে বেঁচে যায় তারা অন্যান্য রোগের কবলে পড়ে মারা যায়। যে রোগ গুলো হবার কারনও এই বিস্ফোরণ। ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাচ্চারা এই বিস্ফোরণের থেকে তৈরি হওয়া রেডিয়েশনের কারণে মায়ের গর্ভ থেকেই পঙ্গু হয়ে জন্মাতে থাকে। এই রেডিয়েশনের প্রভাব আরো বেশ কয়েক বছর বিস্ফোরণস্থল গুলোতে থেকে যায়। আজ বলবো এই কোবাল্ট বোমা কিভাবে জনজীবন কে প্রভাবিত করতে পারে এবং আগামী প্রজন্মকে মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারে। ১৯৪৫ সালে সর্বপ্রথম নিউক্লিয়ার হামলা হিরোশ...

পকেট সাইজ ডিনামাইট ইজরায়েল

Image
ইজরায়েল প্যালেস্টাইন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বহুদিন পর একটা বিশেষ তথ্যবিষয়ক লেখা নিয়ে ফিরলাম। আর তা হলো ইজরায়েলের সামরিক শক্তি বিষয়ক একটি লেখা। ইজরাইল কেন শত্রুদের কাছে বিভীষিকা??? যে দেশের প্রতিটি সীমানায় রয়েছে শত্রুদের পাহারা কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন কেউ ইজরায়েলের ইঞ্চি মাত্র ক্ষতি করতে পারে না?? যে দেশের সীমানায় জীবন এবং মৃত্যুর দূরত্ব সিকি ভাগের ও কম সেই দেশ টার নাম ইজরায়েল । যে দেশের অস্ত্রভান্ডারের নাম শুনলে থর থর করে কেঁপে ওঠে, মাটি কেঁপে ওঠে আকাশ, দেশের নাম শোনা মাত্র যে কোন শত্রুর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় সেই দেশটার নাম ইজরায়েল । যে দেশের প্রযুক্তির গুনোগান সবাই করে, যে দেশের কাছে শত্রুর চোখ উপড়ে নেওয়া " Mossad" এর মতো এজেন্সি রয়েছে সেই দেশকে সারা বিশ্ব ইজরায়েল নামে চেনে। যার কাছে পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম সেনা তথা বায়ুসেনা রয়েছে সে দেশকে সবাই ইজরায়েল নামে চেনে। যে দেশের প্রতিটি সীমা অ্যান্টি ব্লাস্টিক মিসাইল দিয়ে পরিপূর্ণ সমগ্র বিশ্ব তাকে ইজরাইল নামে চেনে। বলে রাখি ইজরায়েল হলো সারা পৃথিবীতে একমাত্র দেশ যা ইহুদিদের দেশ নামে পরিচিত। একটি এমন দ...

হনুমানের পিঠেই রয়েছে ভারততীর্থ

Image
গতকাল রাজ্যে জনসভা করতে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ । এরকমই একবার ঠিক একটি জনসভায় যোগী আদিত্যনাথ ভোটের নেশায় বলে দিয়েছিলেন, হনুমান এক জন দলিত।  এই শুনে অনেকে আবার রে-রে করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, মোটেও না, হনুমান আসলে জঙ্গলের জনজাতি।  আবার এমন রবও উঠেছে যে, হনুমান আসলে আর্য। তা, হনুমান নিয়ে এমন বিভ্রান্তি হবে না তো কাকে নিয়ে হবে? তাঁর লীলা অপার। সেই কাহিনিটাই ধরুন না!  হনুমান বেদজ্ঞ, তাঁর মা অঞ্জনা লেখাপড়া শিখতে ছেলে কে সূর্য দেবের কাছে পাঠিয়েছিলেন। হনুমান আকাশে গেলেন এবং সূর্য তাঁকে দেখে ভয় পেলেন। ছোটবেলায় এই বালক ই যে তাঁকে সুস্বাদু ফল ভেবে খেতে গিয়েছিল!  কিন্তু হনুমান তো এখন বিনয়ী বিদ্যার্থী। ছেলেবেলার কথা মনেও নেই। সূর্যদেবকে প্রণাম করে জানালেন, তাঁর কাছে তিনি বেদবেদান্ত, ব্যাকরণ শিখতে এসেছেন।  সূর্য বললেন, ‘‘আমাকে তো দিবারাত্র কাজ করতে হয়। তোমাকে পড়ানোর সময় কোথায় পাব?’’  হনুমান গুরুর মুশকিল আসান করে দিলেন। ঠিক হল, তিনি সূর্যের রথের আগে আগে ছুটবেন, কিন্তু মুখ থাকবে রথের দিকে, সূর্যের থেকে যা কিছু শোনার শুনতে শুনতে রথের...