আমেরিকান অস্ত্রভান্ডারে নতুন সংযোজন SSN -X
এই মুহূর্তে আমেরিকা এমন এক Futuristic সাবমেরিন তৈরি করছে যা ঠিকঠাক ভাবে তৈরি করতে পারলে এই বিশ্বে অন্য কোন দেশের পক্ষে আমেরিকা কে হারানো একপ্রকার অসম্ভব হয়ে যাবে।
এমন এক সাবমেরিন যা নিউক্লিয়ার হামলা পর্যন্ত করতে পারে।
এটা এমন এক সাবমেরিন যার না কোন আওয়াজ হবে আর না যার Surface এর উপর কারও পক্ষে আঘাত করা সম্ভব হবে না৷
খুব স্বাভাবিক ব্যাপার...
যখন একটা সাবমেরিন আওয়াজ ই করবে না তখন তাকে ডিটেক্ট করা, ট্র্যাক করা, অথবা অন্য কারো পক্ষে এই সাবমেরিন কে টার্গেট করা অসম্ভব হয়ে যাবে।
এবং আগামী দিনে সমুদ্রে তারাই রাজত্ব করবে যাদের কাছে সবচেয়ে বেশি রেঞ্জের মারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং মানব নির্মিত হাতিয়ার থাকবে৷
এমন এক সাবমেরিন যার ক্ষমতা অভূতপূর্ব হবে এবং যাকে হারানো সহজ হবে না৷
আর একদম এই ধরনের ই একটা সাবমেরিন ইউ এস মিলিটারী তৈরি করতে চলেছে যার নাম
"Virginia Class Nuclear powered Attack Submarine SSN - X"
অন্যান্য সাবমেরিন এর তুলনায় এই সাবমেরিন সম্পূর্ণ আলাদা এবং নতুন হবে যা ২০৩১ সালের মধ্যেই আমেরিকা বানিয়ে ফেলবে৷
এখন প্রশ্ন হলো...
হঠাৎ কি ভেবে আমেরিকা এই ধরনের একটা নতুন সাবমেরিন তৈরি করার কথা ভাবলো?
তাহলে বলি.....
আগামী দিনে পৃথিবীতে আরো অনেক ঠান্ডা লড়াই হবে যেমন এই মুহূর্তে আমেরিকা এবং চীনের মধ্যে হচ্ছে, কিংবা ভারত এবং চীনের মধ্যে হচ্ছে।
আর এই ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি গুলো কে সামলানোর জন্য তথা নজরদারি এবং কোনো মিশন কে সফল করার উদ্দেশ্যেই এই সাবমেরিন বানাচ্ছে।
এছাড়াও এই সাবমেরিন বানানোর অন্য একটা কারণ হল আমেরিকান নৌসেনা অনেকদিন ধরেই চাইছিল তাদের অস্ত্র সম্ভারে এমন এক সাবমেরিন থাকুক যা আগের পুরোনো সাবমেরিন গুলোর তুলনায় অনেক বেশি দ্রুতগামী হবে অনেক সেনা নিয়ে যেতে পারবে এবং তার মারণ ক্ষমতা অনেক অনেক গুণ বেশি হবে।
আর এই চিন্তা থেকেই ইউএস মিলিটারি ফোর্স
"Virginia Class Nuclear powered Attack Submarine SSN - X" কে তৈরি করা শুরু করে৷
এখন কথা হল...
এই সাবমেরিনে এমন কি বিশেষত্ব আছে যার জন্য পৃথিবীর বাকি সমস্ত দেশ আমেরিকার তৈরি এই সাবমেরিন কে নিয়ে চিন্তায় আছে?
অথবা এই সাবমেরিনে এমন কি আছে যা থাকে বাকি সব সাবমেরিনের থেকে আলাদা করে?
এখানে বলে রাখি Virginia Class এর এই সাবমেরিন ৩৭৭ ফুট লম্বা এবং এটা সমুদ্রের জলের ৮০০ ফুট গভীর পর্যন্ত ডুব লাগাতে পারে৷
এই SSN - X সাবমেরিন এর গতির কথা বলতে গেলে যা বলার তা হলো একবার সমুদ্রের জলে নামার পর এই সাবমেরিন
25 knots (46 km/h; 29 mph) এর চেয়েও বেশি স্পিড তুলতে পারবে যা অন্যান্য সাবমেরিনের তুলনায় অনেক অনেক গুণ বেশি।
এছাড়াও একেক বারে এই সাবমেরিন ১৩০ জন সেনা কে নিয়ে সমুদ্রের গভীর দিয়ে যেতে পারবে।
এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার যে Virginia Class এর অন্তর্ভুক্ত সমস্ত সাবমেরিনে একটা Inner nuclear reactor লাগানো থাকে যা না শুধু এই সাবমেরিন গুলোর ক্ষমতা এবং স্পিড কে বাড়ায় বরং এই Nuclear reactor থাকার জন্য এই ক্লাসের সাবমেরিন গুলো নিউক্লিয়ার বোমা ফায়ার করতে সক্ষম।
এছাড়াও এই সাবমেরিনের উল্লেখযোগ্য দিক হলো এই সাবমেরিন এক বিশেষ ধরণের Unified Modular Masts এর প্রয়োগ করবে যা এই সাবমেরিনের অল ইন ওয়ান টুল হবে যা নেভিগেশন করতে শত্রুদের চিনতে এবং কমিউনিকেট করতেও সাহায্য করবে।
এই সাবমেরিনের প্রপেলার আগের সাবমেরিন গুলোর তুলনায় অনেক বেশি আলাদা হবে এবং এই প্রপেলার এমনভাবে ডিজাইন করা হবে যা অনেক কম আওয়াজ করবে।
এর সাথে সাথে Advance Control system হিসেবে এতে একটা শক্তিশালী জেনারেটর এবং একটা দুর্দান্ত Combat system লাগানো থাকবে যা যুদ্ধ চলাকালীন যে কাউকে অতি সহজে পরাস্ত করতে সক্ষম হবে।
এই সাবমেরিনের সর্বাধিক শক্তিশালী অংশ হল এর Soonar system (sound navigation ranging) যার মোট পাঁচটা Component থাকবে৷
এই Soonar system এর প্রথম Component এই সাবমেরিনের আশেপাশের বাতাবরণ বা Atmosphere কে ডিটেক্ট করবে৷
দ্বিতীয় Component এই ডুবোজাহাজের Combat system কে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলবে।
তৃতীয় Component এর বরফ জমা সমুদ্র তেও সহজে ভাসতে সাহায্য করবে এবং খুব ভালোভাবে নেভিগেট করতে থাকবে৷
চতুর্থ Component সামনে এবং পেছন থেকে আসা শত্রুদের খুঁজে খুঁজে বের করে মারবে।
এবং এই Soonar system এর পঞ্চম তথা সর্বশেষ Component যাকে TB- 34 অথবা এই সাবমেরিনের কান ও বলা হয় তা অনেক দূর থেকেই শব্দ তরঙ্গ কে Identify করতে পারবে৷
সব মিলিয়ে এই সাবমেরিনের Soonar system এত বেশি শক্তিশালী যে তিন হাজার মাইল দূর থেকেই শত্রু কে Identify করতে পারবে৷
এ তো গেল এই সাবমেরিনের টেকনিক্যাল দিক৷
এবার এই সাবমেরিনে অস্ত্র বহন ক্ষমতা নিয়ে একটু বলি....
একটা সাবমেরিন তখনই successful মানা হয় যখন তার অস্ত্র ভান্ডার অত্যাধুনিক এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হয়৷
বলে রাখি এই সাবমেরিন নিজের সাথে Kyle Tomahawk cruise missile কে নিয়ে বয়ে যেতে পারবে৷
এছাড়াও এতে Advance mark 48 torpedo ইন্সটল করা থাকবে যার ফলে এই সাবমেরিন পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে, যেকোন মুহূর্তে মিসাইল লঞ্চ করতে পারবে।
যে মিসাইল গুলো পৃথিবীর যেকোন টার্গেটকে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারবে।
এছাড়াও ইউএস নেভি ভবিষ্যতে এই সাবমেরিনের Combat system এ Laser power nuclear weapon এর প্রয়োগ করবে৷
Laser weapon এমনিতেই বিপজ্জনক তার ওপর যখন একে Nuclear weapon এর সাথে মিলিয়ে দেওয়া হবে তখন তা আরও বেশি বিপজ্জনক অস্ত্র হয়ে যাবে৷
আর এই সাবমেরিন হয়ে যাবে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী সাবমেরিন যাকে হারানো বাকি কোনো দেশের পক্ষে সহজ হবে না৷
আর এই কারণেই এই আমেরিকান সাবমেরিন এই মুহুর্তে বাকি দেশ গুলোর কাছে চিন্তার বিষয় ৷
২০৩১ সালের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি আমেরিকা এই সাবমেরিন কে তৈরি করে নিতে পারে তাহলে আমেরিকা কে আগামীদিনে হারানো অসম্ভব।
Comments
Post a Comment