পৃথিবীর অন্ত নিকটস্ত

"করোনা"......
এক এমন ভাইরাস যা সমগ্র পৃথিবী কে একসাথে লকডাউন এ যেতে বাধ্য করেছে।

আর হয়তো এবার এই ভাইরাস ততক্ষণ পর্যন্ত  মানুষের সর্বনাশ করে যাবে যতক্ষণ না পর্যন্ত গোটা পৃথিবী থেকে মানবজাতির অস্তিত্ব ধুয়ে মুছে যায়।

হয়তো দেখা গেল এর কোনো ভ্যাকসিন ই আবিস্কার হলো না ঠিক যেমন এইডসের হয়নি।

তাহলে কি এটাই মানবজাতির শেষের শুরু?

হয়তো তাই....

কারণ শুধু করোনাই নয়,
বরং করোনার মতই আরো অনেক বিশ্ব সঙ্কট, আরও অনেক মহামারী আগামী দিনে সারা পৃথিবীতে ছাড়াতে চলেছে যাতে করে পৃথিবী থেকে মানবজাতির অস্তিত্বকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলা যায়।
যেমন আগে বহুবার হয়েছে।

যদিও এই বিশ্ব সংকট গুলো আমাদের জন্য নতুন হতে পারে কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাস তুলে দেখলে বোঝা যাবে এই পৃথিবীতে সৃষ্টি এবং ধ্বংসের চক্র একনাগাড়ে চলেছে বহুবার চলেছে।

যে জীব গুলো একসময় পৃথিবীতে রাজত্ব করতো আজ তাদের কঙ্কাল মাটির নিচে চাপা অবস্থায় পাওয়া যায় Fossils বা জীবাশ্ম হিসেবে।

আজ এই লেখায় করোনার সাথে সাথে পৃথিবীর ওপর আঘাত হানা অন্য আরেকটি বিশ্ব সংকটের কথা বলব যা শুনে যে কারও কপালে ভাঁজ পড়তে বাধ্য৷
আজ একদিকে পৃথিবীর সমগ্র মানবজাতি করোনা নামক ভাইরাসের সাথে লড়ছে যার কোন শেষ দেখা যাচ্ছে না৷
আবার  অন্যদিকে আমাদের সকল শক্তির উৎস সূর্য ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে যে কারণে আগামী দিনে পৃথিবীতে প্রচন্ড ঠান্ডা খরা এবং ভূমিকম্পের মতো বিপত্তি আসতে চলেছে।

আর এইসব হতে চলেছে সোলার মিনিমাম এর জন্য।

এখন প্রশ্ন হলো...

কি এই সোনার মিনিমাম?

এটা এমন এক প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ায় সূর্য ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে যেতে থাকে।
আর এর সাথে সাথে সূর্যের গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স অর্থাৎ চুম্বকীয় শক্তি কমে যেতে থাকে।

এইভাবে চলতে চলতে সূর্য এতটাই ঠাণ্ডা হয়ে যায় যে পৃথিবীতে হিমযুগের সূত্রপাত হয়, এবং গরমের অস্তিত্ব পৃথিবী থেকে শেষ হয়ে যায়।

বলে রাখি এটা কোন সামান্য প্রক্রিয়া বা সামান্য প্রাকৃতিক  সংকট নয় বরং এর জন্য পৃথিবীর বাতাবরণ  পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে৷

আমাদের সকল শক্তির আধার সূর্য এখন এই সোলার মিনিমামের প্রসেস এ চলে গেছে।

যদিও এমন নয় যে এই ধরনের প্রাকৃতিক সংকট এই প্রথমবার হচ্ছে।

১৭৯০ - ১৮২০ এর যুগেও একবার এইরকম হয়েছে যাকে সেই সময় ডালটন মিনিমাম নাম দেওয়া হয়েছিল।

এইসময় ইউরোপেও মাসের পর মাস সূর্য ওঠেনি যে কারণে সেখানে ভূমিকম্প অনাহার এবং আকাল দেখা দেয়।
এখন প্রশ্ন হল....

এই সোলার মিনিমাম কখন হবে?
তাহলে বলি এর সূত্রপাত ইতিমধ্যে হয়ে গেছে।

একটু লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন করোনার পর থেকেই এই পৃথিবীতে একটার পর একটা সংকট আসছে।
যেমন, বিধ্বংসী ঝড় অকাল বর্ষা এবং তুষারপাত এর মতো ঘটনা৷

এই অকাল বৃষ্টির জন্য আবার দেশের অনেক জায়গায় পঙ্গপালের মতো কিছু কীটপতঙ্গের জন্ম হয়েছে যারা ইতিমধ্যেই হাজার হাজার লাখ লাখ টন শস্য খেয়ে নষ্ট করেছে।

এছাড়াও বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন লক্ষ্য করছে।

নাসার বিজ্ঞানীদের মত অনুযায়ী প্রতি এগারো বছর অন্তর সূর্য ঠান্ডা হতে থাকে।

কিন্তু এবারের এই সোলার মিনিমাম কে তারা ওই ১৮২০ সাথে তুলনা করছেন যখন ইউরোপে হিমযুগের মতই একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল৷

আর আজ যখন মানুষ আমফান কিংবা নিসর্গের মতো  ঘূর্ণিঝড়ের সাথে লড়ছে, কিংবা পঙ্গপালের মতো কীটপতঙ্গের সাথে লড়াই করছে তখন যদি এর ওপর হিমযুগের সূত্রপাত হয় তাহলে তা সমগ্র মানব জাতির পক্ষে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।

এক্ষেত্রে চিন্তার বিষয় হলো আবার যদি হিমযুগ আসে তাহলে কি হতে পারে?

খুব সহজ ব্যাপার.....

সূর্য ঠান্ডা হতে শুরু করবে আর সূর্য ঠান্ডা হতে শুরু করলে পৃথিবীর তাপমাত্রাও দ্রুত গতিতে কমতে থাকবে যে কারণে পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গায় ভীষণ তুষারপাত শুরু হবে অথবা বিধ্বংসী ঝড় শুরু হবে, মাঠের পর মাঠ ফসল নষ্ট হবে এবং ভয়ঙ্কর রকমের বজ্রপাত হবে।
এছাড়াও ভয়ঙ্কর সুনামি আসার সম্ভাবনাও থেকে যায়।

অর্থাৎ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে থাকবে।

সুতরাং পৃথিবীর সকল মানবজাতি কে এখন থেকেই এই সমস্ত সংকটের মোকাবিলা করার জন্য তৈরি থাকতে হবে।

কেননা এর সূত্রপাত হয়ে গেছে৷

এর প্রমাণ হলো মেক্সিকোতে বরফ ভর্তি নদীর জল বয়ে যাচ্ছে,

অন্যদিকে ভারতের কিছু শুষ্ক অঞ্চল রাজ্য যেমন রাজস্থান দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ সাম্প্রতিক সময়ে তুষারপাত হয়েছে আর এই কারণে লাখ লাখ টন ফসল নষ্ট হয়েছে৷

গত মে মাসে দিল্লি তে যে বৃষ্টিপাত হয়েছিল সেখানে সাধারণ বৃষ্টির চেয়ে শিলাবৃষ্টি  বেশি হয়েছিল যা সমগ্র দিল্লি কে বরফের চাদরে ঢেকে দেয়৷

সমগ্র দিল্লি তখন একটা হিল স্টেশন৷

আবহাওয়াবিদদের মতে এর কারণ জলবায়ু পরিবর্তন অর্থাৎ পৃথিবীর বাতাবরণ পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে আগামী দিনে যা কমার বদলে আরো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে।

আর আবহাওয়া পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়া যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই পৃথিবীতে ভূমিকম্প খরা এবং ভীষণ ঠান্ডা পড়তে শুরু করবে।

আরে এমনটা হলে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়বে ইউরোপ এবং আমেরিকার যারা প্রথম থেকেই করোনা এবং Superbug এর মতো সমস্যায় জর্জরিত৷

এই অবস্থায় একবার যদি ইউরোপ এবং আমেরিকার দেশগুলো তে ভীষণ ঠান্ডা পড়তে শুরু করে তাহলে তারা কোনোভাবেই তা সামাল দিয়ে উঠতে পারবে না।

বিজ্ঞানীদের মতেও এবারের এই সোলার মিনিমাম আগের থেকে অনেক বেশী বিপজ্জনক৷

তাহলে এখন কি মনে হচ্ছে না পৃথিবীর শেষের সূত্রপাত একপ্রকার শুরু হয়ে গেছে?

এই শেষ সমগ্র পৃথিবীর, সমগ্র মানবজাতির।

আর এর জন্য কোনভাবেই প্রকৃতি দায়ী নয় বরং মানুষ দায়ী।

কারণ এই ধবংসের ভিত্তি মানুষ  আজ থেকে দুশো তিনশো বছর আগেই তৈরি করেছিল যখন সে তার সুবিধার্থে গাড়ি ফ্যাক্টরি কিংবা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র তৈরি শুরু করে দিয়েছিল।

আর ঠিক তখন থেকেই পৃথিবীর শেষের শুরুও হয়ে গেছিল৷

আজ এই ফ্যাক্টরি গুলোর জন্যই সারা পৃথিবীতে অনেক বেশি মাত্রায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছড়িয়ে পড়েছে যা না শুধু মানবজাতিকে শেষ করছে বরং এর সাথে রোজ একটু একটু করে সমগ্র সৌরমন্ডল কে ধ্বংস করছে আর যদি খুব তাড়াতাড়ি এই কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ওপর লাগাম না লাগানো হয় তাহলে আগামী ১০০ বছরের মধ্যেই মানবজাতির অস্তিত্ব পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হতে বাধ্য৷

তাই এই পোস্ট টা যতবেশি পারবেন শেয়ার করুন৷
হতে পারে কিছুটা তফাত তৈরি হলো, কিছুটা ক্ষতি কম হলো ৷

Comments

Popular posts from this blog

অস্থি বিসর্জন কি এবং কেন

রোগ হরণী মা শীতলা

পবিত্র শালগ্রাম শিলা নিয়ে কিছু কথা