অর্থ অনর্থ এবং চীন
কথায় বলে টাকা-পয়সা সমস্ত সর্বনাশের মূল।
পয়সা মানুষকে ওপরে নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু মানুষ পয়সা কে কখনো ওপরে নিয়ে যেতে পারে না।
টাকা-পয়সা যত নিচেই পড়ে যাক না কেন, এতটা নিচে কখনোই পড়বে না যতটা নিচে আজ মানুষ পয়সার জন্য নেমে গেছে৷
চীন সারা বিশ্বের মানুষের সাথে আজ যা করেছে তা কারো কাছ থেকেই লুকিয়ে নেই।
চীনের এই ষড়যন্ত্রের কারণে কিছুদিনের মধ্যেই মোটা টাকার মুনাফা লাভ করবে সেই সমস্ত চীনা ওষুধ কোম্পানি যারা এই ভাইরাসের ভ্যাক্সিনের পুরোদমে মার্কেটিং করবে৷
যা আসলে অনেক আগেই চীনের ল্যাবে তৈরি হয়ে বসে আছে৷
মশা মাছির মতো একের পর এক মানুষের জীবন নষ্ট হচ্ছে চারিদিকে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
আর তাই করোনা ভাইরাস এবং চীনের মস্তিষ্কপ্রসূত এই ষড়যন্ত্রে খুব বাজে ভাবে ফেঁসে গেছে সমগ্র বিশ্ব যা থেকে বাদ নেই সুপার পাওয়ার আমেরিকা।
সমগ্র বিশ্বে চীন করোনা ভাইরাসের এমন জাদু চালিয়েছে যে সেই জাদুর আসল রহস্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে সারা বিশ্বের নামজাদা বিজ্ঞানীদের হাঁসফাঁস অবস্থা।
আর যেমনটা একটু আগে এবং আগের লেখায় বারবার বলেছি এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন চীন বহু আগেই তৈরি করে রেখে দিয়েছে কিন্তু সেই ভ্যাকসিন কে বাকি বিশ্বের বাজারে ছাড়ার আগে চীন সেই সমস্ত দেশের কূটনীতিক এবং আর্থিক সমীকরণকে নিজের হাতের মুঠোয় এনে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।
আর এইভাবেই বিনা কোনো যুদ্ধ ছাড়াই চীন সারা বিশ্বে নিজের সাম্রাজ্য ছড়িয়ে ফেলবে এবং তারপর চীন নিজের দেশে বসে বসেই পৃথিবীর যেকোনো দেশের অর্থনীতি তে কাঁপন ধরিয়ে রেখে দেবে।
কিন্তু ততদিনে করোনা ভাইরাস নামক এই মারণ ভাইরাসের সাথে লড়াইয়ের অজুহাতে চীন সারা বিশ্বে তাদের তৈরি Medical Equipment, মাস্ক, প্রটেক্টিভ স্যুট, এবং ভ্যাক্সিনের মতো জিনিসপত্র বিক্রি করে মুনাফা লুটবে।
এবার চীন কিভাবে ফায়দা লুটবে একটু বিস্তারিত বলি কারণ বিষয়টা ভীষন গভীর৷
আশা করি আমি এটা বলার পর যে কেউ আন্দাজ করতে পারবেন যে এই ওষুধ কোম্পানি গুলো এবংতাদের চিন্তাধারা কি নিকৃষ্ট এবং নোংরা৷
যাই হোক, এটা বলতে গেলে সবাই কে অনেক গুলো বছর পেছনে পিছিয়ে যেতে হবে....
১৯১৬ থেকে ১৯১৮ এই দু বছরের মধ্যে সারাবিশ্বে এভিয়ান ফ্লু নামের এক মহামারী ছড়িয়ে পড়ে।
এখনকার মতো তখনও চারিদিকে একইরকম পরিস্থিতি এবং ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল যেমন করোনা ভাইরাসের জন্য এখন হয়েছে৷
এবং তখন এই রোগের কারনে সারাবিশ্বে বহু মানুষ প্রভাবিত হয় বা আক্রান্ত হয়।
আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল সাড়ে চার কোটি এবং এই মহামারীতে মৃতের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ হাজার৷
সারা পৃথিবীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো।
আর এই আতঙ্কের চক্করে পড়েই সেই সময় একটি আমেরিকান ওষুধ কোম্পানি এই রোগের ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেললো।
এরপর তারা সেই ভ্যাকসিন সারা পৃথিবীতে বেচতে শুরু করে।
কিন্তু এরপর যা হলো তা শুনে যে কারও চোখে জল আসতে বাধ্য.....
সেই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ মানুষের শরীরে করার ফলে সেই সময় সারা বিশ্বে ষাট লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও এই ভ্যাকসিনের প্রভাবে বহু মানুষ পঙ্গু হয়ে যায়, বাকিরা প্যারালাইসিস এ আক্রান্ত হয়৷
যেখানে এভিয়ান ফ্লু এর কারণে সারা বিশ্বে মাত্র ৬ হাজার মানুষ মারা গেল সেখানে এই রোগের ই ভ্যাকসিন নিয়ে ৬০ লাখ মানুষ মারা গেল।
এই ভ্যাকসিন সারা বিশ্বে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু সবচেয়ে বেশি পাঠানো হয়েছিল আফ্রিকার দেশ গুলোতে৷
এছাড়া লাতিন আমেরিকা, ব্রাজিল, মেক্সিকো, চিলি, কোষ্টারিকা, কলম্বিয়া, আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ক্রোয়েশিয়া, এবং ভারত।
এইসব দেশগুলো ছাড়াও আরও অনেক দেশে হু হু করে এই ভ্যাকসিন বিক্রি হতে থাকে।
এই ভ্যাকসিনের ব্যবহারে যে ৬০ লাখ মানুষ মারা গেল তার থেকে সহজেই অনুমান করা যায় ভ্যাকসিন কতো বিপজ্জনক জিনিস।
আর এইজন্যই গত লেখায় আমি বলেছিলাম ভ্যাকসিন তৈরি করতে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় এবং তা অনেক বেশি সময় সাপেক্ষ।
এভিয়ান ফ্রু এর ভ্যাকসিন এলো তাতে এতো মানুষ মারা গেল.... এবার করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আসবে এবং সেই ভ্যাকসিন ভারত তথা সারা বিশ্বের মানুষদের একধার থেকে ফটাফট দেওয়া শুরু হবে৷
কেন বলুন দেখি???.....
দেওয়া হবে কারণ ষড়যন্ত্রের অঙ্গ হিসেবে সারা পৃথিবী তে করোনা নামক এক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে৷
আরও পরিস্কার করে বললে ইচ্ছাকৃত ভাবে ছড়ানো হয়েছে৷
আর তার থেকেও বেশি ছড়ানো হয়েছে ভয় আর আতঙ্ক৷
এর সাথে সাথে মিডিয়াও চারিদিকে ভয় ছড়ানোর কাজে হাত লাগিয়েছে কারণ এইসব করে মিডিয়া আর্থিক ভাবে লাভবান হয়৷
আর এই ভয়ের কারণেই এখন পৃথিবীর সব মানুষ চাইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের শরীরে ভ্যাকসিন নিতে যাতে এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচা যায়৷
এই পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বলা হয়েছে করোনা ভাইরাসের এই ভ্যাকসিন নিতে প্রত্যেকের মাথাপিছু খরচ পড়বে কুড়ি হাজার টাকা।
এখন যদি আমি ধরে নিই করোনা ভাইরাস এবং তা থেকে জন্ম নেওয়া ভয়ের কারণে সারাদেশে কুড়ি কোটি লোক প্রভাবিত হলো এবং ভ্যাকসিন নিল তাহলে সেই অনুযায়ী যে দেশ বা কোম্পানি এই ভ্যাকসিন বিক্রি করবে তাদের মোট আয় দাঁড়াবে চার লাখ কোটি টাকা।
এখন কথা হল এই যে করোনা ভাইরাস চীন সারাবিশ্বে ছড়িয়েছে তার বেশিরভাগটাই ছড়িয়েছে বিশ্বের সেই সমস্ত দেশ গুলো তে যারা আর্থিক ভাবে আমাদের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী।
যেমন, আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, কানাডা, বেলজিয়াম, সুইডেন ইত্যাদি৷
গরীব দেশ গুলো তে কিন্তু নয়
যেমন, সোমালিয়া, নেপাল, ভুটান, লিবিয়া, গায়ানা, সিরিয়া, মায়ানমার, মাঙ্গোলিয়া, মালি বাংলাদেশ ইত্যাদি৷
বলুন দেখি কেন.....???
কারণ এই ভ্যাকসিনের দাম অনেক বেশি রাখতে পারলে তবেই না হাজার হাজার কোটি টাকা লাভ করা সম্ভব৷
আমার আপনার টাকা থাকবে তবেই না আমরা এই ভ্যাকসিন কিনবো!!!
যা থেকে খুব সহজেই অনুমান করা যায় যে এই ঘটনার পেছনে আসল হাত রয়েছে চীনের এবং এই ঘটনা ঘটার ফলে তারাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।
কয়েক হাজার কোটি টাকার ভ্যাকসিন বিক্রি করবে চীন।
এবং সেই হিসেবে নিয়মানুযায়ী আগামী ২০ বছর পর্যন্ত চিনের কাছেই এই ভ্যাকসিন বিক্রি করার পেটেন্ট থাকবে।
২০ বছরের আগে চীন ছাড়া আর কোন দেশের কোনো ওষুধ কোম্পানি সেই ভ্যাকসিন টা কে বানিয়ে বাজারে বিক্রি করতে পারবে না।
তাই ২০ বছর পর্যন্ত চীনের ই কোনো কোম্পানির হাতে মনোপলি থাকবে এবং এই মনোপলির ওপর দাঁড়িয়ে সারা বিশ্ব থেকে চীন কয়েকশো হাজার কোটি টাকা লুটবে৷
আসলে এটা চীনের একটা মাস্টার প্ল্যান, সারা বিশ্বে মার্কেটিং করার একটা রণনীতী৷
ধান্দা করতে হবে..... মাল বেচতে হবে৷
তাই আমি আপনি বাঁচলাম নাকি মরলাম তাতে চীনের কিছু যায় আসে না৷
তাদের শুধু এবং শুধুমাত্র টাকা নিয়ে মতলব।
আর এই জন্যেই হাজার হাজার মানুষের মনে করোনা আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে৷
Comments
Post a Comment