করোনা ও চীনা মস্তিষ্ক

ভারতে প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ লক্ষ মানুষ মারা যায় টিউবার কিউলোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে৷
দু লক্ষ মানুষ ম্যালেরিয়া তে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়৷
এছাড়া হেপাটাইটিস - বি যা কিনা এক ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগ তাতে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ মারা যায় ৷
আর এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মারা গেছে ২৯ জন মানুষ৷

মাত্র ২৯ জন.....
তাহলে এতো ছুটোছুটি এতো ভয় এতো হাহাকার কেন.....?? কেন হঠাৎ আমাদের দেশ এইভাবে থমকে গেল??

এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর আমি এখানে দেবো না বরং আমি সবাইকে এখানে কিছু Clue দেব যাতে সবাই সবটা বুঝতে পারবে।

করোনা ভাইরাস একটা ষড়যন্ত্র যে ষড়যন্ত্রের সূত্রপাত হয়েছিল চীন থেকে।
আগের লেখায় বলেছিলাম চীন চিরকাল নিজের সবকিছু বাকি বিশ্বের থেকে লুকিয়ে রাখে। এমনকি গুগল ফেসবুক পর্যন্ত চীনের লোকজন ব্যবহার করে না।
আজ যেখানে সারা বিশ্বের মানুষ সার্চের জন্য গুগল ক্রোমের ব্যবহার করে সেখানে চীনের জনগণ গুগল ক্রোম ব্যবহার না করে তাদের নিজেদের তৈরি ইউসি ব্রাউজার এবং আরো এমন কিছু ব্রাউজার ইউজ করে যা কিনা তাদের নিজেদের তৈরি।

এছাড়াও অবাক করা ব্যাপার হলো আজ যেখানে সারা বিশ্বের প্রায় ১.৭৫ বিলিয়ন মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ইউজ করে সেখানে চীন হোয়াটসঅ্যাপ ইউজ করেনা।
তারা ইউজ করে WeChat...

যা কিনা তাদের নিজেদের ই তৈরি করা৷
এছাড়াও চীন Alibaba.com বানিয়ে ফেলেছে যা আজ প্রচুর মানুষ ব্যবহার করছে৷
এটা সেই Alibaba যারা আজ সারা পৃথিবীতে মাস্ক বিতরণ করছে।
এছাড়া চীনে আজ অব্দি জিমেইল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ তাই সেখানে মেসেজ এবং ফাইল পাঠানোর জন্য qq.com এর ব্যবহার হয়৷

আজ যেখানে সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ বাকিদের সাথে Connected থাকার জন্য ফেসবুক ব্যবহার করছে সেখানে চীন ফেসবুক ব্যবহার করে না৷
তারা RainRain এর ব্যবহার করে৷
সারা বিশ্বের অগণিত মানুষ যেখানে আজ অনলাইন ভিডিও দেখার জন্য ইউটিউব ব্যবহার করে সেখানে চীন তা ব্যবহার করে না৷
তারা ব্যবহার করে Youku
যা আসলে চীনের ই তৈরি৷

সারা বিশ্বের হাজার হাজার লাখ লাখ কোটি কোটি মানুষ যেখানে টুইটার ব্যবহার করে সেখানে চীন টুইটারের বদলে weibo ব্যবহার করে৷
এছাড়াও Oppo এবং Vivo মোবাইল ভারতে চীন ই লঞ্চ করেছিল৷
অথচ আজ অব্দি ভারতের কোনো মোবাইল কোম্পানি চীনে তাদের মোবাইল লঞ্চ করতে পারেনি৷
আসলে যেমন টা বললাম.…..

এই দেশ চিরকাল নিজের A-Z সবকিছু সবার থেকে হাইড করে রাখে যাতে বাকি বিশ্বের কেউ কখনো জানতে না পারে চীনের অন্দরে কি চলছে।
চীন একটা এমন দেশ যা পুরোপুরি সিক্রেট৷
অথচ সেই দেশ টাই গত জানুয়ারিতে পুরো বিশ্ব কে Full HD quality তে ভিডিও রেকর্ড করে দেখিয়েছে করোনার আক্রমনে তার দেশের অবস্থা কতো খারাপ৷
পুরো শো কেস করা যাকে বলে৷

কিন্তু প্রশ্ন হল কেন?

এইসব ভিডিও বানিয়ে শো কেস করে সবাই কে দেখিয়ে চীনের কি লাভ বিশেষ করে যখন তা এমন একটা দেশ, যে দেশ তার কোনো কিছুই কাউকে কোনোদিন জানায় না৷

এছাড়া যদি চীনে প্রকাশিত সংবাদপত্রের কথা বলি তাহলে যেটা সবথেকে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার তা হল চীনে প্রকাশিত সমস্ত সংবাদপত্র ই চাইনিজ ভাষায় ছাপা হয় যাতে চীনের কোনো টেকনোলজি কিংবা রিসার্চের ব্যাপারে কোনো কিছুই বাইরের দেশের কোনো মিডিয়ার কাছে না পৌছায়৷

অথচ আজ সেই দেশ ই সবার আগে সবাই কে ফুল এইচ ডি তে ভিডিও রেকর্ড করে দেখিয়ে বলছে....
"দেখো করোনা তে আমাদের দেশের উহান শহরের কি খারাপ অবস্থা"
এটা গেল প্রথম কথা.....

এবার দ্বিতীয় কথায় আসি....

করোনা সংক্রমিত দেশ গুলোর মধ্যে চীন বাদে পৃথিবীর আর কোনো দেশ ই এই মুহূর্তে করোনার হাত থেকে মুক্ত নয়।
করোনা ভাইরাস চীনে হঠাৎ করেই সবার আগে শুরু হল এবং হঠাৎ করেই রাতারাতি সবার আগে তা গায়েবও হয়ে গেল।

এটা কিভাবে সম্ভব??

চীনে এখন মানুষ মারা যাওয়ার সংখ্য শূন্য.... A big zero

চীনে যারা যারা অসুস্থ ছিল তারা সবাই সুস্থ হয়ে উঠছে, এবং নিজেদের রোজকার কাজকর্ম যেমন অফিস, আদালত, কারখানা, এবং স্কুল কলেজ যাওয়া শুরু করে দিয়েছে৷

চীন রাতারাতি তাহলে এমন কি করে ফেললো যে এতো স্পিডি রিকোভারি তারা করে ফেললো...??

বাকিরাও অন্তত জানুক তাহলে সারাবিশ্বে এই যে এতো মানুষ মরছে খুব তাড়াতাড়ি তাদের জীবন বাঁচানো যাবে।

আমার বলা এই কথা গুলোর আরেকটু গভীরে গেলে সবাই আরও কিছু Clue পাবেন....

আচ্ছা বলুন দেখি এই মুহূর্তে এই যে ভারতে লকডাউন হয়েছে এটা কেন হয়েছে?
সারা বিশ্বের আজ এই যে ভয়াবহ অবস্থা তার কারণ কি?

আসলে চারিদিকে আজ এই যে ভয়ের পরিবেশ তা নিশ্চিত ভাবেই কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা অন্তত আমার মতে৷

বেশ কিছুদিন আগে একজন নামী সংবাদিক কে যখন প্রশ্ন করা হয় করোনা ভাইরাস কি সত্যি চীনের তৈরী একটা ভয়াবহ ষড়যন্ত্র??

তখন তার উত্তরে সেই সাংবাদিক বলেন,

চীন সবার আগে তাদের ল্যাবে একটা মারণ ভাইরাস তৈরি করে এবং তারপর সেই ভাইরাসের ভ্যাক্সিন তৈরি করে এবং তারপর সারা বিশ্বে তা ছড়িয়ে দেয়৷

এবং সেই মারণ ভাইরাস কে চীন ততদিন যত্ন করে তাদের কাছে রাখে যতদিন না সে সারা বিশ্বের অর্থনীতি কে পাতালে নিয়ে যেতে পারে৷

এখানে বলে রাখা ভালো চীন সারা পৃথিবীর বড় বড় উদ্যোগপতিদের হাব তৈরি করে ফেলেছিল৷

চীন প্রথমে তাদের দেশের উহান শহরে এই ভাইরাস কে ছাড়ে। এবং এরপর ভয়াবহ মৃত্যুলীলা দেখে সবকিছু ছেড়ে একপ্রকার পালাতে থাকা শিল্পপতিদের থেকে প্রায় জলের দামে সমস্ত শেয়ার চীন কিনে নেয়, বিদেশী শিল্পপতিরা সেই সময় তাদের পুঁজি ফেলে ভয়ে একপ্রকার পালিয়ে আসে৷

এই সময় একদিন হঠাৎ করেই চীন তার নিজের তৈরি করা এবং লুকিয়ে রাখা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কে বের করে আনে এবং নিজের দ্বারা সৃষ্ট চীনের মৃত্যু মিছিল কে এক দিনেই থামিয়ে দেয়।
যদিও এতে হয়তো চীন নিজের দেশের কিছু মানুষকে হারিয়েছে কিন্তু সারা পৃথিবীর সবকিছু লুটে নিয়েছে৷

সেখানে এখন মৃত্যু-মিছিল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ, করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও সেখানে এখন শূন্য৷
চীন বাদে এই মারণ ভাইরাস সারা পৃথিবী তে আজ যমদূতের মতো চক্কর কাটছে৷
আর এর ফলে সেই সমস্ত দেশ এবং শহরের মেরুদন্ড কোমর সব ভেঙে গেছে যেসব দেশে চীনা নাগরিকরা টাকা খরচ করতেন।

আজ সারা বিশ্ব প্রতিদিন নিজের অর্থনীতি কে করোনার কারণে ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে দেখেও কিছু করতে পারছে না।

অন্যদিকে ১৭ ই মার্চ থেকে চীনের অর্থনীতি রোজ আরও বেশি শক্তিশালী হচ্ছে৷

আসলে এটা একটা আর্থিক যুদ্ধ যে যুদ্ধে ইতিমধ্যে চীন জিতে বসে আছে।
আর অন্যদিকে বাকি বিশ্ব রোজ প্রকৃতি এবং করোনা নামক মারণ ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিজের জীবন এবং অর্থ সম্পদ সব হারাচ্ছে৷
আসলে এই যুদ্ধ পুরোপুরি চীনের মস্তিষ্কপ্রসূত৷

এটা আমাদের ভারতীয়দের ইমিউনিটি লেভেল যে তারা যেকোনো সংকট, যে কোন যুদ্ধে একজন দক্ষ যোদ্ধার মতো সব সময় লড়াই করে এসেছে এবং জিতে এসেছে৷
আমাদের দেশের অধিকাংশ নাগরিক ইকোনমির অঙ্কে আটকে থাকে না৷
পাথর থেকে জল বের করে আনার শক্তি রয়েছে ভারতবাসীর৷
আমরা ভারতীয়রা বড় থেকে বড় রোগ এবং মহামারী কে রুটির টুকরো তে ভরে খেয়ে ফেলতে পারি, হজম করেও ফেলতে পারি।
আমরা ভারতীয়রা কখনো প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিনা বরং তার পূজো করি৷
আমরা ভারতীয়রা মন্দির মসজিদ গীর্জা গুরুদ্বার গিয়ে বারবার ইশ্বর আল্লাহ গড কে ডেকে এসেছি।

সুতরাং, সেই ইশ্বর আমাদের অনিষ্ট করতেই পারেন না৷

কিন্তু প্রত্যেক ভারতীয় কে মনে রাখতে হবে চীন ই হলো এই প্রকৃতির আসল খলনায়ক এদের থেকে দুরত্ব বজায় রাখুন৷

বলে রাখি, উহান থেকে সাংহাই এর দুরত্ব ৮৩৯ কিলোমিটার
উহান থেকে বেজিং এর দুরত্ব ১১৫২ কিলোমিটার,
উহান থেকে মিলানের দুরত্ব ১৫ হাজার কিলোমিটার, উহান থেকে নিউইয়র্ক এর দুরত্ব ১৫ হাজার কিলোমিটার...... বেজিং এবং সাংহাই তে করোনার এক বিন্দু প্রভাব পড়েনি কিন্তু ইতালি, ইউরোপ, ইরান, স্পেন এইসব দেশে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, এইসব দেশের সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে অথচ চীনের সমস্ত মূল এবং অর্থনৈতিক শহর একেবারে সুরক্ষিত রয়েছে৷

ডাল মে জরুর কুছ কালা হে.….

আমেরিকা শুধু শুধুই বারবার এই ঘটনার জন্য চীন কে দায়ী করছে না৷

Comments

Popular posts from this blog

অস্থি বিসর্জন কি এবং কেন

রোগ হরণী মা শীতলা

পবিত্র শালগ্রাম শিলা নিয়ে কিছু কথা