লকডাউন ও করোনার রক্ষাকবচ
আমি বুঝতে পারি না আমাদের দেশে কিছু মানুষের বুদ্ধি নেই নাকি তারা তাদের ব্রেন খানা মঙ্গল গ্রহতে রেখে এসেছে।
আমাদের দেশের সরকার, প্রতিটি রাজ্যের রাজ্য সরকার, নিউজ চ্যানেল সবাই বারবার আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ কে বুঝিয়ে বুঝিয়ে কানের পোকা বের করে দিল যে, প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোতে এবং সোশ্যাল ডিসটেন্স মেন্টেন করতে।
অথচ এই মানুষগুলোর পাছায় পুলিশের লাঠির বাড়ি না পড়লে যেন তারা কিছু বুঝতেই চায় না।
ঘরে যেন এরা থাকতে ই পারে না বলা ভালো থাকতে চায় না।
এরাই দিনরাত সোশ্যাল মিডিয়াতে আর দশজন মানুষকে লকডাউন নিয়ে জ্ঞান দিয়ে বেড়ায় অথচ এদের মাথায় এক শতাংশও বুদ্ধি নেই।
Actually this is absolutely wrong.
আসলে সরকারের তৈরি আইনকে ফলো না করা, সেই আইনকে না মানা এগুলো আমাদের ভারতীয়দের রক্তে রয়েছ।
আমরা ভারতীয়রা মনে করি আমরা যেখানে দাঁড়াবো লাইন সেখান থেকেই শুরু হবে।
কিন্তু এখানে একটা জরুরী কথা বলা আবশ্যক তা হল,
এই লড়াই কিন্তু কোনো সরকার বা কোন দমনকারী সংস্থার বিরুদ্ধে নয় এই লড়াই হল অতি ক্ষুদ্র সেই সমস্ত অর্গানের সাথে যাকে ভাইরাস বলা হয়, যাদের কে পৃথিবীর প্রাচীনতম জীবের মধ্যে ধরা হয়।
আর এই বিষয়টা স্কুলে কমবেশি সবাই পড়েছে।
তাই একটু হলেও সবার জানা উচিত যে পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব Single cell organ থেকেই এসেছিল৷
অর্থাৎ এককোষীও সূক্ষ্ম জীব থেকে।
আরেকটু সহজ ভাষায় বললে, বিশালাকার ডাইনাসোর এবং অতি বুদ্ধিমান প্রাণী মানুষের পৃথিবীতে উদ্ভবের আগে এই Single cell organ ই অস্তিত্ব ছিল
আর এখন করোনার হামলার কারণে এই সূক্ষ্ম জীবেরা আবার পৃথিবীতে রাজত্ব করতে চলে এসেছে।
মনে রাখবেন, এরা কিন্তু পাঁচ বছরের জন্য রাজত্ব করতে আসেনি বরং বরাবরের মতো পৃথিবী থেকে মানবজাতির অস্তিত্ব কে চিরতরে মুছে দিতে এসেছে।
প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে প্রতিক্ষনে এই ভাইরাসের আক্রমণ মানুষের প্রতি আরও জোরালো হচ্ছে যা থেকে বিশ্বশক্তি আমেরিকা পর্যন্ত নিজেকে বাঁচাতে অক্ষম হয়েছে।
পৃথিবীর সবথেকে ধনী দেশ আমেরিকা আজ করোনার সাথে মোকাবিলা করতে গিয়ে নিজেদের মেডিক্যাল ওয়ার্কার্সের জন্য সামান্য N95 মাস্ক পর্যন্ত জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করার জন্য আমেরিকার কাছে প্রয়োজন মতো ভেন্টিলেটার এবং আইসিইউ নেই।
পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ আমেরিকার যদি এই হাল হয় তাহলে একবার ভেবে দেখুন আমাদের দেশে কি অবস্থা হতে পারে।
করোনার তৃতীয় পর্যায় যদি পুরোদমে একবার আমাদের দেশে শুরু হয়ে যায়, এবং আমরা যদি ঠিকঠাকভাবে লকডাউন কে পালনা না করি তাহলে দেশজুড়ে ত্রাহি ত্রাহি আওয়াজ উঠবে।
যদিও প্রতি একশো জনের মধ্যে মাত্র একজন ই করোনা তে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় কিন্তু একটা কথা কিভাবে অস্বীকার করা যায যে, আমার আপনার মায়ের জীবন ও ততটা ই দামি যতটা দেশের বাকি মায়েদের৷ আমার আপনার ছেলে মেয়ের জীবন ও ততটা দামি যতটা দেশের বাকি ছেলেমেয়েদের।
তাই একবার হলেও ভেবে দেখুন কাকে রাখবেন আর কাকে বাদ দেবেন৷
যদি আমরা এই পরিস্থিতিতে ঠিকঠাকভাবে লকডাউন কে পালন না করি তাহলে হয়তো দেখা যাবে অনেক ভারতীয় মিডিল ক্লাস ফ্যামিলির সামনে ধর্মসংকট এসে গেল।
হাসপাতালের বেডের খরচ কার জন্য দেবেন নিজের বৃদ্ধা মা বাবার জন্য নাকি নিজের ছোট্ট শিশু সন্তানের জন্য এই ভেবে ভেবে৷
একবার ভেবে দেখুন এই লকডাউন বাইরে ঘুরতে যাওয়া কিংবা কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে জামায়াত করা এগুলো ইম্পর্টেন্ট নাকি জীবনটা ইম্পর্টেন্ট?
কেবলমাত্র তাজা শাকসবজি, ফল, দুধ এসবের জন্য নিজের পরিবারের সদস্যদের জীবন বলি দিতে চাইবেন?
আর যদি কারো মনে হয় যে তার ইমিউনিটি অনেক বেশি শক্তিশালী এবং ভারতের মতো গরম দেশে এই ভাইরাস সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না তাহলে একটা কথা জেনে রাখুন
এই ভাইরাস হাওয়াতে তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকে।
তাই রোদ বা গরম যত বেশিই হোক না কেন যদি সেই গরম বাতাসে কেউ ভুলেও নিঃশ্বাস নিয়ে ফেলে তাহলে সে সংক্রমিত হতে পারে৷
ভেবে দেখুন কি হবে যদি করোনা সেই সমস্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে যেখানে ঘন জনবসতি রয়েছে।
এই সমস্ত অঞ্চলে যদি কেউ দুমিনিটও নিঃশ্বাস নিয়ে ফেলে তাহলে সে সংক্রমিত হতে বাধ্য।
এছাড়াও প্লাস্টিক এবং মেটাল সারফেসের ওপর এই ভাইরাস তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত জীবিত থাকে যা আমি আপনি যে কাউকে এফেক্ট করতে পারে।
এই তথ্যগুলো ALT News এর Website এ গেলে যে কেউ দেখতে পারেন অথবা ইন্টারনেটে একটু রিসার্চ করেও দেখতে পারেন।
প্রতিটি দেশবাসীর কাছে আমার অনুরোধ সবাই ঠিকঠাক ভাবে লকডাউন কে পালন করুন যাতে বাকি বিশ্বের কাছে এটা প্রমাণ হয়ে যায় যে আমরা ভারতবাসী শুধু নিয়ম ভাঙতে নয় বরং সেই নিয়ম কে ঠিকঠাকভাবে পালন করতেও জানি, প্রমাণ করে দিন আমরা ভারতবাসীরা ডিসিপ্লিন অনুশাসন এর অর্থ জানি।
একটু খেয়াল করে দেখুন আজ ইংল্যান্ড ইতালি, স্পেন, ইরান, আমেরিকা যেখানেই আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেশি সেখানেই এটা বেশি হওয়ার কারণ টা কি??
কারণ টা হলো এসব দেশের মানুষদের প্রথমদিকে মনে হতে থাকে করোনা সে তো চীনে হয়েছে তাদের দেশে এটা হবে না৷
কিন্তু পরে যখন তাদের দেশে দু'চারটে কেস পাওয়া গেল তখনো তাদের মনে হতে লাগল মাত্র তো দু'চারটে ওতে কিছু হবে না। কিন্তু এই দু'চারটে কেস থেকেই যখন দশ কুড়ি তিরিশ পঞ্চাশ থেকে হাজার হয়ে দশ হাজার হয়ে গেল তখন সব হিসেব বদলে গেল৷
এতদিন যে মৃত্যু টা কে তারা সাত সমুদ্র দূরে দেখছিলেন সেই মৃত্যুটাই এখন তাদের বাড়ির দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে।
ইতালিতে আজ এত বেশি মানুষ মরেছে যে তাদের সৎকার করার জন্য জায়গা কম পড়ছে, সেনার সাহায্য নিতে হচ্ছে।
আরেকটা কথা বলি.... এই মারণ ভাইরাস অবশ্যই চীনের ই তৈরী করা৷
কোনো বাদুর বা সাপ খাওয়ার কারণে এই ভাইরাস তাদের শরীরে আসেনি কারণ এইসব তারা আজ থেকে নয় বরং আদিকাল থেকেই খেয়ে আসছে৷
আর আজ অব্দি এমন কোনো ভাইরাস ই নেই যা কোনো পশু কে খাওয়ার কারণে মানুষের শরীরে এসেছে৷
চীন এই ভাইরাস কে ছেড়েছে যাতে সে সারা বিশ্বের শেয়ার বাজার তথা অর্থনীতি কে ধংস করতে পারে এবং তার সুপারপাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন সত্যি হয়ে যায়।
এখনকার সময়ে যুদ্ধ আর সেনা, অস্ত্র, কামান এসব দিয়ে নয় বরং ব্যাবসা, শেয়ার স্টক এসব দিয়ে হবে৷
আরেকটা মজার ব্যাপার হলো করোনা ভাইরাসের সাথে লড়াই করার জন্য স্পেন চীনের কাছ থেকে ৪৩২ মিলিয়ন ইউরোর মেডিকেল সামগ্রী কিনছে৷
ঠিক যেন চোর কেই ঘর পাহারা দিতে বলার মতো৷
যাইহোক, সবাই সতর্ক থাকুন এবং লকডাউন কে ঠিকঠাক ভাবে পালন করুন এবং যত বেশি সম্ভব এই লেখাটা শেয়ার করুন যাতে সবাই অ্যালার্ট থাকেন।
Comments
Post a Comment