করোনা ভাইরাস ও চীন
মারণ ভাইরাস করোনা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাওয়াটা যে চীনের একটা সুপরিকল্পীত ঘটনা সেটা আমার কাছে পরিষ্কার কতগুলো কারন বলছি....
১. যেখানে পুরো পৃথিবী তে করোনার প্রভাব পড়েছে সেখানে চীনের উহান শহর কে বাদ দিয়ে আর কোথাও কেন প্রভাব পড়লো না?
বেজিং কিংবা সাংহাই এর মতো বড় শহর যেখানে চীনের রাষ্ট্রনায়করা থাকেন সেই শহর গুলো কিভাবে এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসের হাত থেকে বেঁচে গেল?
২/ পৃথিবীর সমস্ত দেশ যখন প্রথমদিকে চীনকে করোনা সম্পর্কে তথ্য দিতে বললো তখন চীন বাকি বিশ্ব কে তা দিতে অস্বীকার করলো কেন?
৩/ করোনা ভাইরাসের আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনার কথা প্রথম সমগ্র বিশ্বের সামনে আনা জার্নালিস্ট কে কেন নিখোঁজ করিয়ে দেওয়া হল?
এবং Dr. Li Wenliang কে কেন মেরে ফেলা হলো?
৪/ কোন আন্তর্জাতিক বিমানের উড়ানের ক্ষেত্রে কোন গাইড লাইন জারি করার দরকার নেই কেননা করোনাভাইরাস এক মানুষের শরীর থেকে অন্য মানুষের শরীরে ছড়ায় না এই মিথ্যে কথা W.H.O কেন বললো?
তাছাড়া এই কথা W.H.O ১১ ই জানুয়ারি পর্যন্ত ট্যুইট করে জানিয়েছে৷
কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন?
এই মিথ্যে কথা বলে W.H.O এর কি লাভ হলো?
আর কেনই বা W.H.O এর এর ওয়েবসাইট এ করোনা প্রতিরোধ এ পরিস্কার কিছু বলা নেই?
৫/ চীনের উহান শহর থেকে মেডিকেল চেকআপ না করে একসাথে 50 লাখ লোকজন কে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আলাদা আলাদা ভাবে কেন পাঠানো হল?
ঘটনাচক্রে এঁরা প্রত্যেকেই ছিল করোনা আক্রান্ত....
কেন এদের পাঠানো হল?
৬/ ৬ ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইটালিতে করোনা রোগের কেস একদমই সামান্য ছিল৷
এর কয়েকদিন পর একজন চীনা মহিলা ইতালি যায় এবং সেখানকার এয়ারপোর্টে নামার পর তার হাতে একটি প্লাকার্ড দেখা যায়, যাতে লেখা ছিল "আমি একজন চীনা মহিলা কোন ভাইরাস নয় প্লিজ আমায় জড়িয়ে ধরো"
এরপর এয়ারপোর্টে থাকা বহু মানুষ আবেগবশত মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে এবং তার কয়েকদিন পর থেকেই ইটালিতে হু হু করে বাড়তে থাকে করোনা রোগীর সংখ্যা যা একসময় চীনকে ছাড়িয়ে যায়।
পুরো পৃথিবী এই মুহূর্তে চীন এবং W.H.O কে সন্দেহের চোখে দেখছে।
এছাড়াও একই দিনে চীন এবং W.H.O মহামারী প্রতিরোধ নিয়ে ভারতের প্রশংসা কেন করলো?
এটা কি শুধুই কাকতলীয়
আসলে করোনাভাইরাস হলো চীনের বিশাল বড় এক চক্রান্ত৷ চীন সবার প্রথমে তাদের দেশেই অবস্থিত wuhan institute of virology তে একটা ভাইরাস এবং তার ভ্যাকসিন তৈরি করে। এবং তারপর সেই ভাইরাস সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়। এছাড়াও রাতারাতি হাসপাতাল তৈরি করে ফেলে যেগুলো আসলে প্রথম থেকেই তৈরী ছিল।
এগুলো সবই ছিল চীনের রণকৌশল৷
আরেকটা অবাক করা বিষয় হলো চীন চিরকাল নিজের ব্যক্তিগত সব কিছু বিষয় সারা বিশ্বের থেকে লুকিয়ে এসেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে তারা করোনা রোগীদের সমস্ত ফুটেজ সারা বিশ্বকে দেখিয়েছে।
ফলস্বরূপ ভাইরাসের সাথে সাথে সারা পৃথিবী তে অরাজকতা ছড়িয়ে পড়েছে বিশেষ করে ইউরোপে৷
করোনার কারণে আজ চীন বাদে সব দেশের অর্থনীতি ভেঙে গেছে, উৎপাদন ব্যাবস্থা মার খাচ্ছে৷
ফলস্বরূপ শেয়ার বাজারে ধস নেমে গেছে৷
আসলে চীন সবার আগে এই মহামারী কে নিয়ন্ত্রণ করে নিয়েছে কারণ, করোনা ভাইরাসের টিকা তাদের কাছে আগে থেকেই রেডি ছিল। যে কারণে রাতারাতি চীনের উহান শহর থেকে করোনার আক্রান্ত নতুন পেশেন্ট পাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
অথচ ইতালি-স্পেন, ফ্রান্স, আমেরিকার মতো উন্নত দেশ করোনা কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
এটা কিভাবে সম্ভব?
এছাড়াও চীনের সব থেকে বড় বন্ধু রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া তে করোনার বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি, কারণ তারা চীনের কট্টর সমর্থক এবং বন্ধু দেশ৷
অন্যদিকে চীনের সমস্ত শত্রু দেশ যেমন ভারত, ফ্রান্স ইরান, স্পেন ইংল্যান্ড এদের অবস্থা নাজেহাল৷ কারণ এরা চীনের শত্রুদেশ৷
করোনার কারণে বিশ্বের অর্থ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় চীন সেই সমস্ত জিনিস কেনা শুরু করেছে যা সস্তা হয়ে গেছে৷
যেমন ১০০ টন সোনা এবং প্রচুর পরিমাণ তেল।এবং অন্যদিকে সেইসব জিনিস বিক্রি করা শুরু করেছে যার দাম বেড়ে গেছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট যখন উহান শহর পরিদর্শনে যান তখন তিনি নাকে অতি সাধারণ একটা RM1 ফেস মাস্ক পড়েছিলেন...
তার শরীর সেই মুহুর্তে কোনোভাবেই পা থেকে মাথা অব্দি ঢাকা ছিল না যেটা একজন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সেই মুহুর্তে অবশ্যই তার প্রয়োজন ছিল৷
এর কারণ একটাই আর তা হল....
সেখানে যাওয়ার আগেই তার শরীরে এই মারণ ভাইরাসের ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছিল।
চীনের উদ্দেশ্য একটাই বিশ্বের সমস্ত দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করা এবং আমেরিকাকে ঘুরপথে পরাস্ত করা৷
কারণ চীন এটা খুব ভালো করেই জানে যে, যুদ্ধ করে সে আমেরিকার মতো প্রখর শক্তিধর দেশের সাথে পেরে উঠবে না৷
এছাড়াও এই মুহুর্তে যেখানে সারা বিশ্বে হাহাকার চলছে সেখানে চীন লকডাউন তুলে নিয়েছে এবং তার দেশের সমস্ত কল-কারখানা চালু করে দিয়েছে।
কিভাবে এতো তাড়াতাড়ি উহান এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বেঁচে গেল??
চীন হয়তো বলবে শুরু থেকেই তারা খুব কঠোর ছিল তাই এই ভাইরাস উহান বাদের চীনের আর কোনো শহরে ছড়াতে পারেনি কারণ তারা উহান কে লকডাউন করে দিয়েছিল৷
কিন্তু এটা ভীষণ বোকা বোকা উত্তর হয়ে যাবে৷
কারণ আসল কারণ যদি তাই হতো তাহলে বিশ্বের বাকি দেশ গুলো তে এটা এতো ছড়াতো না... এবং একটা নির্দিষ্ট শহরের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ থাকতো এবং লকডাউন এই কাজ হয়ে যেত৷
যাই হোক উহান সহ চীনে এখন সবকিছু ঠিকঠাক হলেও আমেরিকা এবং ভারত সহ আরও অনেক দেশের অর্থনীতি ভেঙে শেষ হয়ে গেছে.... আর এটাই হলো চীনের বিশ্ব বিজয়ী ফর্মলা..... একটা মাস্টার প্ল্যান৷
ভাইরাসের ব্যাবহার করে বাকি দেশের অর্থনীতি এবং রণকৌশল কে ভেঙে দাও।
উহান তো কেবলমাত্র মহামারীর একটা ট্রেলার মাত্র৷
এবার দেখবেন, চীন কিছুদিনের মধ্যেই ঘোষণা করবে যে তারা এই ভাইরাসের ভ্যাক্সিন তৈরি করে ফেলেছে৷
এই মুহূর্তে চীনের অস্ত্র ভান্ডারে অন্য দেশের নামী দামী অস্ত্রের সংখ্যা বাড়ছে আর তাই খুব তাড়াতাড়ি সারা বিশ্ব হয়তো চীনের গোলাম হবে যা আসলে মনেপ্রাণে চীন চায়৷
Comments
Post a Comment